বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। সেই সঙ্গেই শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। ফলে বৃদ্ধ বয়সে ওষুধ, ডাক্তার সহ নানান খরচ বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় অনেকেরই ভরসা পেনশন (Pension)। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বহু মানুষের এই পেনশনের টাকায় সংসার চলে। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে নয়া আপডেট।
একধাক্কায় কয়েক গুণ বাড়ছে পেনশন (Pension)?
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। বর্তমানে দাঁড়িয়ে ১০০০ টাকা মাসিক পেনশনে কিছুই হয় না। সেখানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কীভাবে সংসার চালাবেন? এবার এই প্রশ্ন তুলেই ইপিএফের (EPF) পেনশন বৃদ্ধি করার সুপারিশ দেওয়া হল। সংসদীয় শ্রম বিষয়ক কমিটির তরফ থেকে এই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) ইপিএফও-র এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের অধীন নূন্যতম পেনশন বৃদ্ধি করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে সর্বনিম্ন মাসিক ১০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হচ্ছে। বিগত ১০ বছরে হু হু করে মূল্যবৃদ্ধি হলেও পেনশনের টাকায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। তবে এবার সেটাই ১০০০ টাকা থেকে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রামনবমীর পোস্টারে ঢাকল ডেঙ্গি প্রতিরোধ ব্যানার! রাজ্য রাজনীতিতে নয়া বিতর্ক
শ্রমিক উন্নয়ন ও পেনশনভোগীদের সংগঠনের তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই নূন্যতম পেনশন (Pension) ৭৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হচ্ছে। তবে এই বছরও সেই দাবি মানা হয়নি বলে খবর। এবার সংসদীয় শ্রম বিষয়ক কমিটির তরফ থেকে ইপিএফের অধীন সর্বনিম্ন পেনশন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির দাবি, ২০১৪ সালের নিরিখে ২০২৪ সালে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই হিসেবে পেনশনের পরিমাণও বাড়ানো দরকার। তারা আরও বলেছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রণালয় ও ইপিএফের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এছাড়া জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্প চালু হওয়ার তিন দশক পর প্রথমবার এর কার্যকারিতা পরিচালনা করা হচ্ছে। কমিটির তরফ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই এই পেনশন প্রকল্প (EPS) কতখানি কার্যকরী হবে ও কোথায় এর উন্নতির সুযোগ আছে, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, পেনশনের (Pension) টাকা দিয়ে সংসার চলে এদেশের বহু মানুষের। ইপিএফের এই পেনশন স্কিমের সুবিধাও নেন অনেকে। ফলে এই প্রকল্পের আওতায় নূন্যতম পেনশনের পরিমাণ যদি বাড়ানো হয় তাহলে বহু মানুষের সুরাহা হবে। শেষ অবধি কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই দেখার।