এবার বাংলায় লেখা হোক ঝাড়খণ্ডের স্টেশনের নাম! দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি শিবু সোরেনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজ্য সভার সাংসদ ও রাজ্য সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান শিবু সোরেন একটি বিশেষ দাবি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। সেই চিঠিতে শিবু সোরেন দাবি জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের বাংলা অধ্যুষিত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি সেই এলাকার রেলস্টেশনের নাম বাংলায় লিখতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও। চিঠিতে বলা হয়েছে, বহু বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা, মানভূম, সিংভূম, ধলভূম ও পাঁচপরগনা এলাকায়। ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। বিগত কয়েক বছরে স্টেশনগুলির বাংলা নামগুলি মুছে দেওয়া হয়েছে।

জেএনএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন এই চিঠিতে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, একটা সময় পাকুর, বারহওয়া, জামতারা, মিহিজাম, মধুপুর, জাসিডিহ, মাইথন, কুমার ধুবি, চিরকুন্ডা, কালুবাথান, ধানবাদ, গোমো, পরশনাথ, হাজারীবাগ রোড, মুড়ি, রাঁচি, হাতিয়া, চাকুলিয়া, গালুডিং, রাখা খনি, টাটানগর, চান্ডিল কান্দ্রা, চক্রধরপুর, চাইবাসা, বরকাকানা, রাঁচি রোডের মতো অনেক পুরানো রেলস্টেশনের নাম বাংলা অক্ষরে লেখা ছিল।

এটি অত্যন্ত অন্যায় মনে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছেন সেই এলাকার রেলস্টেশনগুলির নাম বাংলায় লেখার। চিঠিতে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ১৯১২ সাল পর্যন্ত ঝাড়খন্ড বাংলা প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল। পরে এটি বিহারের অংশ হয়। ১৯০৮ সালের পর থেকে ভারতীয় রেল বিস্তার করতে শুরু করে। বিভিন্ন স্টেশন ও হল্ট তৈরি হতে থাকে।

69321031

সেই সময় ঝাড়খণ্ডের স্টেশনগুলিতে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, উড়িয়া ভাষায় নাম লেখা থাকত। পরবর্তীকালে সাঁওতাল ভাষা স্বীকৃত হওয়ার পর স্টেশনগুলিতে সাঁওতাল ভাষাতেও নাম লেখা শুরু হয়। শিবু সোরেন চিঠি দিয়ে রেলমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে দ্রুত ঝাড়খণ্ডের বাংলা অধ্যুষিত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানকার রেলস্টেশনগুলির নাম স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা হয়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর