বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নোটবন্দী (Demonetisation) এর তিন বছর পূর্তিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের ওয়ানাড থেকে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী সরকারের উপর আক্রমণ করে নোটবন্দীকে আতঙ্কি হামলা বলে আখ্যা দেন। এরসাথে সাথে উনি এই সাথে নোটবন্দীর জন্য দায়ি নেতাদের কড়া শাস্তি দেওয়াও কথা বলেন। আট নভেম্বর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ৫০০ আর ১০০০ এর নোট গুলোকে বাতিল ঘোষণা করে দেন।
It’s 3 yrs since the Demonetisation terror attack that devastated the Indian economy, taking many lives, wiping out lakhs of small businesses & leaving millions of Indians unemployed.
Those behind this vicious attack have yet to be brought to justice. #DeMonetisationDisaster pic.twitter.com/NdzIeHOCqL
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 8, 2019
রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেন, ‘নোটবন্দী আতঙ্কি হামলার তিন বছর পূর্ণ হল। এই সিস্টের ভারতের অর্থব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়, অনেক মানুষের জীবন যায়, অনেক ছোট ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়। আর লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বেকার হয়ে যায়।” উনি হ্যাশট্যাগ ডিমনিটাইজেশন ডিজাস্টার (demonetisation disaster) এর প্রয়োগ করে বলেন, এই নিন্দনীয় হামলার জন্য দায়ি মানুষকে আইনের সামনে আনা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রনদীপ সুরজেওয়ালাও নোটবন্দী নিয়ে বিজেপির এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর আক্রমণ করেন। উনি নরেন্দ্র মোদীকে বর্তমানের তুঘলক বলে আখ্যা দেন। উনি ট্যুইট করে বলেন, ‘সুলতান মোহম্মদ বি তুঘলক ১৩৩০ সালে দেশের মুদ্রাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানের তুঘলক ২০১৬ সালের আট নভেম্বর একই কাজ করেছিল।” উনি বলেন, তিন বছর অতিক্রান্ত কিন্তু আজও দেশ ওই ভুলের সাজা ভুগছে। অর্থব্যাবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, আর বেকারত্ব বেড়ে গেছে। একদিকে সন্ত্রাসবাদও থামেনি, আর জাল নোটের ব্যাবসাও বন্ধ হয়নি। সুরজেওয়ালা প্রশ্ন করেন, এর জন্য দায়ি কে?
আপানদের জানিয়ে রাখি, ২০০১৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়রি জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন চিহ্ন খাড়া করেছিল কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী। সেই সময় তাঁরা জঙ্গি এবং পাকিস্তানকে না দুষে, শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ভারত সরকার তথা মোদী সরকারকে দোষ দেওয়া শ্রেয় মনে করেছিল। আর সেই সময় রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের উপর ভর করে পাকিস্তান নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে লেগে পড়েছিল।