বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্য় সরকারের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বৈঠকে দিন সকালেই ধুন্ধুমার বৈদ্যবাটি স্টেশন (baidyabati station)। যাত্রীদের দাবি, টিকিট কাউন্টার খুলে ট্রেন চলাচল শুরু করতে হবে। নাহলে অবরোধ চলতেই থাকবে। রেল লাইনের উপর বড় লোহার রড, গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখায় নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভের আঁচ পড়ে জি টি রোডেও।
ট্রেন চালানোর দাবীতে নিত্যযাত্রীদের বিক্ষোভ
সপ্তাহের প্রথম দিনই হুগলির বৈদ্যবাটি স্টেশনে (baidyabati station) চরম বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে নিত্যযাত্রীরা। রেল পরিষেবা চালু করতে হবে নাহলে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দিতে হবে, এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাত্রীরা। রেল লাইনে বড় লোহার রড, বোল্ডার, গাছের গুঁড়ি ফেলে রেল লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আটকে যায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনও।
বিক্ষোভের আঁচ পড়ে জি টি রোডেও
রেল লাইনের ওপর বসে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। রেলের স্টাফরা বারবার আবেদন করলেও, কোন কাজ হয় না। অবরোধ তুলতে নারাজ থাকে নিত্যযাত্রীরা। স্টেশনের এই প্রতিবাদ কিছুটা দূরে থাকা লেভেল ক্রসিং পর্যন্ত গড়ায়। যার প্রভাব পড়ে জি টি রোডেও। এই করোনা পরিস্থিতিতে যে স্কল নিত্যযাত্রীর একমাত্র ভরসা বাস, অটো, তারাও সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়।
বিক্ষোভ হচ্ছে একাধিক জায়গায়
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। করোনা আবহে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। শুধুমাত্র রেলের স্টাফদের জন্য কিছু ট্রেন চলছে, যাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা নিষেধ রয়েছে। একেই লকডাউন অবস্থায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তারউপর বাসে, অটোতে যেতে গেলে তার ভাড়াও অনেক। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিভোক্ষ প্রদর্শিত হচ্ছে। গত শনিবারই হাওড়ায় স্পেশাল ট্রেনে উঠেতে না দেওয়ার ষ্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখেই আটকে দেয় উত্তেজিত জনতা।
রেল-রাজ্য বৈঠক
প্রসঙ্গত, আজ অর্থাৎ সোমবার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বিকেল ৫ টায় নবান্নে। সেখানে রাজ্যের তরফ থেকে থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত ট্রেন পরিষেবা চালু করাই এল এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়।