বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভবিষ্যতের কথা ভেবে উপার্জনের সাথে সাথে সঞ্চয় করেন সকলেই। তবে, আজকাল সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের অনেক নতুন উপায় এলেও এখনও দেশের বহু মানুষ পোস্ট অফিসের স্কিমগুলিতে তাঁদের অর্থ জমা করেন।
পাশাপাশি, পোস্ট অফিসও গ্রাহকদের উপযোগী বিভিন্ন নতুন নতুন স্কিম শুরু করেছে। এখানে অনেক ধরনের সেভিংস অপশন আছে, যাতে বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম সম্পর্কে।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হল এমন একটি দুর্দান্ত স্কিম, যেটিকে আপনি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। এই প্ল্যানের বিশেষ বিষয় হল এতে বিনিয়োগ করা ছাড়াও আপনি SIP-এর মতো সুবিধা এখানে পাবেন। এই স্কিমে, আপনি এক বছরে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা জমা করতে পারেন।
এই স্কিমে অর্জিত সুদ FD (ফিক্সড ডিপোজিট) বা RD (রেকারিং ডিপোজিট)-র চেয়ে বেশি, অর্থাৎ, স্কিমটিতে আপনি প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে টাকা জমা করে বড় রিটার্ন পেতে পারেন। এমনকি এর মধ্যে সুদ ও ম্যাচুরিটির অঙ্কের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয় না।
ধরুন, আপনি প্রতি মাসে আপনার PPF অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা জমা করেন। অর্থাৎ সারা বছরে ৬০,০০০ টাকা জমা হবে। যার উপর ৭.১% হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ দেওয়া হবে। সুতরাং এমতাবস্থায়, আপনি যদি ১৫ বছরের জন্য টাকা জমা করেন তবে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৯ লক্ষ টাকা। একই সময়ে, আপনার ম্যাচুরিটির পরিমাণ হবে ১৬.২৫ লক্ষ টাকা, এবং আপনার সুদের পরিমাণ হবে ৭.২৫ লক্ষ টাকা।
পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রে PPF-এর অনেক সুবিধা রয়েছে। এই স্কিমের অধীনে আপনি বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি ১২ টি কিস্তিতেও দেওয়া যেতে পারে। আপনি চাইলে আপনার সন্তানদের PPF অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরাও একটি PPF অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, যেটি বাবা-মা নিজেই তত্ত্বাবধান করতে পারেন।
শুধু তাই নয়, স্কিমটি যদি ১৫ বছর পরে ম্যাচিওর হয়, তবে আপনি এটি ৫ বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারেন। এতে টাকা হারানোর কোনোরকম ভয় নেই। এই অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে আপনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিতে পারেন। সর্বোপরি এই টাকার উপর আপনাকে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না।