বাংলা হান্ট : ‘পাকিস্তানের (Pakistan) লোক কি…?’ লাইভ সম্প্রচারের মধ্যেই অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে বিপাকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফের (Tehereek r Insaf) প্রধান ইমরান খান (Imran Khan) একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে সমালোচনা শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে অনেকেরই আনার দাবি কোনও অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করেননি ইমরান। বরং একটি উর্দু শব্দ ব্যবহার করেছেন তিনি। যার অর্থ হল পিঁপড়ে।
অনেক টাল বাহানার পর শুক্রবার ইসলামবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনিরকে আক্রমণ শানান ইমরান। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, কখনও পাকিস্তানের সেনার বিরোধিতা করেননি। উলটে সকলে যখন সেনার বিরোধিতা করেন, তখনও সেনার পাশে দাঁড়ান। সেটা অ্যাবটোবাদে ঢুকে আমেরিকা ওসামা-বিন-লাদেনকে হত্যা করার পরবর্তী সময় হোক বা অন্য কোনও সময় হোক, সবসময় পাকিস্তানি সেনার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইমরান। তাঁর দাবি, ‘আমি সারাজীবন সেনার হয়েই কথা বলেছি।’
ইমরান বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আপনি কিছু মন্তব্য করেছিলেন, সেটার জবাব দিতে চাই আমি। আপনি বলেছিলেন যে আমি নাকি দু’মুখো সাপ। একদিকে আমি বলি যে সেনা আমরা। আবার অন্যদিকে আমি নাকি সেনার বিষয় উলটো-পালটা কথা বলি। আপনি বলেছেন যে আমি নাকি সেনার যতটা ক্ষতি করেছি, ততটা শুত্রুরাও করেনি। আপনি গুঁড়িয়ে দেবেন নাকি।’
এদিন ইমরান আরও বলেন, ‘একটা কথা মন দিয়ে শুনুন। আপনি যখন জন্মাননি, তখন আন্তর্জাতিক স্তরে আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতাম। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছি। পাতা উলটে দেখে নিন যে ইমরান খান পাকিস্তানের নাম গৌরবান্বিত করেছে নাকি নাম খারাপ করেছে। আপনি তখনও জন্মগ্রহণ করেননি।’
ইমরান এদিন আরও বলেন, ‘আপনার এটা জানা উচিত যে সন্ত্রাসবাদের সময় বলা হত যে পাকিস্তানি সেনা দু’মুখো। সেইসময় পারভেজ মুশারফের আমলে মার্শাল ল কার্যকর করা হয়েছিল। তখনই একরকম কথা বলা হত। অন্যরকম কাজ করে। ডলার আমাদের থেকে নেয়। অন্যরকম খেলা খেলে। তখন পাকিস্তানি সেনাকে দু’মুখো বলা হত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দেখে নিন, কে সবসময় পাকিস্তানি সেনার পাশে থেকেছে, কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানি সেনার হয়ে গলা ফাটিয়েছে।’ এই সময়ই ইমরান বলে বসেন, ‘পাকিস্তানের লোক কি (পিঁপড়ে)? পাকিস্তানের লোক বোকা নাকি?’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় চরম বিতর্ক।