বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের সেনার অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার দুদিন পর লাদাখ (Ladakh) নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সেনা সুত্র অনুযায়ী, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশকে ভারত নিজেদের দখলে নিয়েছে। সেখানকার অনেক কয়েকটি পোস্টে এখন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা মোতায়েন আছে। সুত্র থেকে জানা যায় যে, সবথেকে দুর্গম স্পাংগুর গ্যাপ, স্পাংগুর ঝিল আর তাঁর আশেপাশে চীনের সেনা দ্বারা বানানো রাস্তায়ও ভারতীয় সেনা নিজেদের ক্যাম্প বানিয়ে ফেলেছে।
প্যাংগং লেকের দক্ষিণ দিকের সবথেকে উঁচু স্থানে চীনের সেনা ক্যামেরা আর নজরদারি উপকরণ লাগিয়ে রেখেছিল, কিন্তু তবুও ভারতের বীর জওয়ানরা পিপলস লিবারেশন আর্মির আগেই ওই এলাকায় নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে। সুত্র থেকে জানা যায় যে, চীনের সেনা ওই উঁচু স্থান গুলোতে ভারতীয় সেনার গতিবিধিতে নজর রাখার জন্য উন্নত ক্যামেরা আর নজরদারির নতুন উপকরণ লাগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এরপরেও ভারতীয় সেনা ওই জায়গায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে আর তেরঙ্গা ওড়াতে সক্ষম হয়।
চীনের সেনা বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় অত্যাধুনিক উপকরণ লাগিয়ে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি করছিল। কিন্তু চীনের টেকনোলজি ভারতীয় সেনার বীর জওয়ানদের সামনে জলে ভেসে গেলো। ভারতীয় সেনা উঁচু জায়গা গুলোতে নিজদের আধিপত্য বিস্তার করে সেখান থেকে চীনের অত্যাধুনিক ক্যামেরা আর নজরদারির উপকরণ হটিয়ে দেয়। চীন হামেশাই দাবি করত যে, ওই উঁচু স্থান গুলো ওদের। এর সাথে সাথে তাঁরা ওই জায়গা গুলোতে কবজা করতে চাইত। সেখানে চীনের খতরনাক চীনা রেজিমেন্টও মোতায়েন ছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনার সামনে তাঁরা ঠুঁটো বলে প্রমাণিত হল।
সুত্র থেকে জানা যায় যে, ভারতীয় সেনার এক বিশেষ অপারেশন ইউনিট আর শিখ লাইট ইনফ্রেন্ট্রির জওয়ানরা চীনের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে ওই উঁচু জায়গা গুলো দখল করে নেয়। আরেকদিকে, এনএসএ অজিত দোভাল শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা বৈঠক করেন। ভারতের এই কড়া পদক্ষেপের পর চীনের হাওয়া উড়ে গেছে। একদিকে তাঁরা ওই এলাকা থেকে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করছে। আরেকদিকে চীনের বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র সুর বদলে বলছে, চীন কখনো লড়াইতে উসকানি দিতে চায় না। আমরা চাই দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করুক।