টিকিট থাকা স্বত্বেও ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে ‘সিদ্ধিদাতা”কে, গণেশ মূর্তি নিয়ে হইচই শান্তিপুরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রেন থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেওয়া হল স্বয়ং “ঈশ্বরকে!” ট্রেনে যাত্রার জন্য বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও গণেশ মূর্তি নামিয়ে দেওয়া হল ট্রেনের কামড়া থেকে। ট্রেনে হেনস্থার স্বীকার স্বয়ং “ভগবান!” বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও গণেশ মূর্তি সহ শিল্পী কে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সামনে গণেশ চতুর্দশী উপলক্ষে অর্ডার অনুযায়ী শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী সৌরাজ বিশ্বাস নির্মাণ করেছিলেন তিন ফুট উচ্চতার একটি গণেশ মূর্তি। তার তৈরি মূর্তিটি শনিবার কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার দিন ছিল।

তাই সৌরাজ তার সহকারী তাপস পালকে দিয়ে মূর্তিটি কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তাপস তার ও মূর্তিটির জন্য দুটি ট্রেনের টিকিটও কাটেন।এরপর তিনি শনিবার বিকাল ৩টে ৪০ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর- শিয়ালদহ ট্রেনের ভেন্ডার কম্পার্টমেন্টে ওঠেন। অভিযোগ এরপর সেই কম্পার্টমেন্টে থাকা কিছু ছানা ব্যবসায়ী তাপসকে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

ওই ব্যবসায়ীরা দাবি করেন মূর্তি নিয়ে কিছুতেই এই বগিতে যাওয়া যাবেনা। ছানা ব্যাবসায়ীদের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাপস পাল। এরপর জোরপূর্বক শান্তিপুরের পরের স্টেশন বাতনা কৃত্তিবাস স্টেশনে তাপসকে মূর্তি সহ নামিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে মূর্তির কিছু অংশে ক্ষতি হয়।

নদিয়া জেলা অনুন্নত কুম্ভকার সমিতি এই ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন তাপস ও তার মূর্তিকে ট্রেন থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেওয়া হল সেই বিষয় তারা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শান্তিপুর স্টেশনের জিআরপিতে।

Ganesh 2

সমিতির পক্ষ থেকে মুন্না পাল জানিয়েছেন,”বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে? আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনায় জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।” এরপর পাঁচটা দশের ডাউন শান্তিপুর লোকালে আরপিএফ এবং হকার ইউনিয়নের সহযোগিতায় কলকাতায় নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর