বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগে হঠাৎ উদয় পলাতক বিমল গুরুংয়ের। প্রথমবার দেখা দিয়েই সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান। পুরস্কার হিসেবে পাহাড়ের ৩টি আসনই গুরুং গোষ্ঠীকে ছেড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী সম্মান রাখতে পারলেন না গুরুংসাহেব। একুশের ভোটে পাহাড়ের স্বঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুং সবকটি আসনই হেরে গেলেন। গোটা রাজ্যে দিদি ঝড়ে বেসামাল রাম থেকে বাম সবাই। কিন্তু পাহাড়ে দাঁত ফোটাতে পারলেন না গুরুংসাহেব। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানও অর্জন করা সম্ভব হয়নি গুরুংসাহেবের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়কে ভীষণ ভালোবাসেন। তিনি বরাবরই জানিয়েছেন যে, আর যাই হোক দার্জিলিং ভাগ হতে দেবনা। আরেকদিকে, দার্জিলিং ভাগের মূল দাবীদার বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি পালন না করার অভিযোগ তুলেছিলেন। ওনার মতে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েও দার্জিলিংকে গোর্খাল্যান্ড করার স্বীকৃতি দেয়নি।
একুশের নির্বাচনে দার্জিলিংয়ের ৫টি আসনেই জয়লাভ করে বিজেপি জোট। উত্তর থেকে দক্ষিণ চারিদিক যখন একাই একশ হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন দার্জিলিংয়ে গুরুংয়ের উপর ভরসা রাখায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে হল ওনাকে। আর এটাই এখন ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে।