নিজের জমি নেই! এদিকে অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আবাস যোজনার ৬০,০০০ টাকা! তারপর যা হল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনার (Awas Yojana) ক্ষেত্রে ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের (Government Scheme) উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু উপভোক্তা ৬০,০০০ টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হলেও নিজের জমি না থাকায় বাড়ি তৈরি শুরু করতে পারছে না একাধিক পরিবার।

আবাস যোজনা (Awas Yojana) নিয়ে নয়া খবর!

ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের একটি গ্রামে ১১টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করেন। কারোর পাকা বাড়ি নেই, সকলে মাটির বাড়িতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ৬টি পরিবারের অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে। তবে নিজস্ব জমি না থাকায় বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়ে পারছেন না। বাকি ৫টি পরিবারের অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা না ঢুকলেও ওই একই কারণে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।

আবাসের প্রথম সমীক্ষার পর ওই ১১টি পরিবারের নাম আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় উঠেছিল। তবে তাঁরা বন দফতরের জমিতে থাকেন। ফলে ইতিমধ্যেই ৬টি পরিবারের অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা ঢুকে গেলেও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারছেন না। ওই পরিবারগুলি পাট্টার আবেদন জানিয়েছে বলে খবর। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ৩ দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা! জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম! কাদের কপাল খুলল?

জানা যাচ্ছে, প্রশাসনের তরফ থেকে ওই পরিবারগুলির তথ্য যাচাইয়ের পর দেখা যায় তাদের নামে জমি নেই। তাঁরা বন দফতরের জমিতে থাকেন। এদিকে নিয়ম বলছে, বন দফতরের জমি সহজে পাট্টা দেওয়া যায় না। এরপর প্রশাসনের কাছে যায় ওই পরিবারগুলি। বিডিওকে বিষয়টি জানানো হয়। সব জানার পর প্রশাসন পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

Awas Yojana

তবে এত সহজে পাট্টা পাওয়া যাবে না বলে খবর। একেবারে নিম্নস্তর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তা ধাপে ধাপে উচ্চস্তরে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললে শুরু হবে পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এরপরেই বাড়ি তৈরির কাজে হাত লাগানো যাবে।

আবাস যোজনার (Awas Yojana) উপভোক্তাদের জমি সংক্রান্ত এই জটিলতা প্রসঙ্গে বিডিও উৎপল পাইক বলেন, ‘এই রকম একটি সমস্যা হয়েছে। ওদের নিজের জমি নেই। বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে’। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অনুমোদন সম্বন্ধিত ফাইল মহকুমা স্তর অবধি পৌঁছে গিয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর