বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ আইএসএলে ১১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি লিগে একবারও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। কিন্তু গত ম্যাচে লিগের সেরা দল মুম্বাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ১০ জন স্বদেশি ফুটবলার নিয়ে মরণপণ লড়াইয়ের পর ড্র করায় সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়েছিল। আজ তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জামশেদপুর এফসি।
এই ম্যাচে ১১ জন ভারতীয় ফুটবলার দিয়ে দল সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বতীকালীন কোচ রেনেডি সিং। বেশিরভাগ বিদেশির হয় চোট নয় পুরোপুরী ম্যাচ ফিট নন। কেউ আবার সাসপেনশনের জন্য মাঠের বাইরে। অপরদিকে জামশেদপুরের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান দখল করার।
ম্যাচে শুরু থেকে জামশেদপুরের পূর্নশক্তির দলের সাথে সমানে সমানে টক্কর দিতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেড। আদিল, হিরাদের দাপটে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ছিল প্রায় দুর্ভেদ্য। অবশ্য শুধু রক্ষণ নয়, মাঝেমধ্যেই নিজেদের মধ্যে দ্রুত কিছু পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টাও করছিলেন তারা। তবে জামশেদপুরের শক্তিশালী ডিফেন্স-কে ভেদ করার মতো শক্তি ছিল না সেই আক্রমণগুলিতে। প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর খেলার ফল থাকে ০-০।
দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে থাকে সেন্টার ব্যাক আদিল খান চোট পাওয়ায় তাকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হন রেনেডি সিং। হাফ ফিট বিদেশি ড্যারেল সিডল-কে তার জায়গায় বাধ্য হয়ে নামাতে হয়। অনভ্যস্ত পজিশনে খেলতে থাকা অঙ্কিত মুখার্জির সাথে আদিলের বদলে সিডল জুটি বাঁধতে বাধ্য হন। সিডলও খেলছিলেন অনভ্যস্ত পজিশনে। জিততে মরিয়া জামশেদপুর কোচ ওয়েন কোল মাঠে এনেছিলেন ঈশান পন্ডিতা-কে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ঈশান পন্ডিতার হেডেই যাবতীয় স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। মরিয়া লড়াইয়ের পরও শূন্য হাতেই ফিরতে হয় তাদের। অপরদিকে ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে পৌঁছে যায় জামশেদপুর।