বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পরিচিত রূপে নিজেদের আইকন-কে দেখতে পেলো কলকাতা। ৩রা ডিসেম্বরের সন্ধ্যা ফের একবার দেখলো সেই পরিচিত অফসাইডে দাদাগিরি। সেই একইরকম অফ ড্রাইভ, একইরকম মেজাজে স্টেপ আউট করে বল-কে বাপি বাড়ি যা স্টাইলে মাঠের বাইরে ফেলে দেওয়া। গতকাল সন্ধ্যায় যেন কলকাতা পিছিয়ে গিয়েছিল একলাফে ১৫-১৬ বছর। ফের একবার অধিনায়ক রূপে ইডেনের মঞ্চে দাপিয়ে বেড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ড সভাপতি একাদশ বনাম বোর্ড সচিব একাদশ ম্যাচে ফের দেখা গেল অধিনায়ক এবং ব্যাটার সৌরভকে। তবে সৌরভ গাঙ্গুলির দলে থাকলেও ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দীন। শেষপর্যন্ত তার দল জয়ের স্বাদ পায়নি।
গতকালের প্রীতি ম্যাচে টস জিততে পারেননি মহারাজ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বোর্ড সচিব দলের অধিনায়ক অমিত শাহ পুত্র জয় শাহ। ১৫ ওভারের খেলায় তারা ৩ উইকেট খুইয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১২৮ রান। বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল ৩৫ রান এবং জয়দেব শাহ ৪০ রান করেন। ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন জয় শাহও। তিনি অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
জবাবে দুর্দান্ত শুরু করেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির সভাপতি একাদশ। কোনও উইকেট না খুইয়েই ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ১৫ রান এবং বিজয় পাটিল ২১ রান করে আউট হন। কিন্তু দু’জনেই রান আউট হয়ে যাওয়ার পরে বেসামাল হয়ে যায় সভাপতি একাদশ। এরপর সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দেবজিৎ সইকিয়া এবং সৌরভের জুটি। আগের মতোই কভার ড্রাইভ, কাট এবং স্টেপ আউট করে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করেন সৌরভ। দেবজিৎ ১৫ রানে আউট হন। কিন্তু জয় শাহ-র বোলিং সামলাতে কার্যত হিমশিম খেয়ে যায় সভাপতি একাদশের বাকিরা। তিন উইকেট নিয়ে সভাপতি একাদশের মিডল অর্ডার একার হাতে ধসিয়ে দেন অমিত শাহ পুত্র। ৩৫ রানে যখন সৌরভ রিটায়ার্ড হার্ট হন, তখন জয়ের জন্য সভাপতি একাদশের ২ ওভারে ১৪ রান বাকি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ১২৭ রানেই থেমে যায় সভাপতি একাদশের ইনিংস।
প্রতিবছরই বোর্ডের বার্ষিক সভার আগে এই প্রীতিম্যাচ খেলা হয়। আজকেই শহরে রয়েছে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বোর্ডের প্রত্যেকে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেই সভায়। বিরাট কোহলিদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ভবিষ্যৎ সম্ভবত আজকেই নির্ধারিত হয়ে যাবে।