বড় অপারেশন হওয়ায় করতে পারেন না ভারী কাজ! তাও রোজগারের আশায় “বিজ্ঞাপন” দিলেন যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে সবাইকেই করতে হয় কোনো না কোনো কাজ। কারণ, অর্থ উপার্জনের মাধ্যমেই বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করেন সবাই। যদিও ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে অনেকে ইচ্ছে থাকলেও করতে পারেন না তা। কারণ, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে মাথা নোয়াতে হয় তাঁদের। তবে, এমন কিছু মানুষও থাকেন যাঁরা কার্যত মনের জোর এবং জেদকে সম্বল করেই এগিয়ে চলেন জীবনে।

পাশাপাশি, তাঁদের এই লড়াকু উত্থান খুব সহজেই মন জয় করে নেয় সকলের। এছাড়াও তাঁরা হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণার উৎসও। ঠিক সেইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে রাজ্যেরই এক যুবকের কাজের অন্বেষণে দেওয়া এক “অদ্ভুত বিজ্ঞাপন” নজর কেড়েছে সবার। ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোজগারের আশায় নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে মাথায় রেখেই কাজ বেছে নিয়েছেন ওই যুবক।

এদিকে, ইতিমধ্যেই ওই বিজ্ঞাপনের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া এখন এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেটিকে আমরা বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগাতে পারি। অনেকেই নিজেদের পেশাগতভাবেও কাজে লাগান এটিকে। এমতাবস্থায়, রানা দাস নামের ওই যুবকও কাজের আশায় একটি পোস্টার বানিয়ে ছিলেন। আর সেই পোস্টারই উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টারের ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন সহ যেকোনো অনুষ্ঠানে টেবিল পরিষ্কারের জন্য যোগাযোগ করতে বলেছেন রানা। পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য সেখানে তাঁর মোবাইল নাম্বারটিও দেওয়া রয়েছে। মূলত, আলিপুরদুয়ারের উত্তর মাঝেরডাবরির বাসিন্দা রানার ছোটবেলাতেই একটি বড় অপারেশন হয়েছিল গলায়। যার জন্য বসানো হয় নলও। আর সেই কারণেই ভারী কাজ করতে পারেননা তিনি।

Screenshot 2022 06 07 at 5.44.44 PM

যদিও নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছে তাঁর এখনও রয়েছে। আর সেই দিকটি মাথায় রেখেই তিনি বেছে নিয়েছেন টেবিল পরিষ্কারের কাজ। এদিকে, এই পোস্টারের ছবি নেটমাধ্যমে আসা মাত্রই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও রানা যেভাবে খেটে খাওয়ার মানসিকতা বজায় রেখেছেন সেজন্য তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সবাই। এছাড়াও নেটিজেনরা প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “কোনো কাজই ছোট নয়”, পাশাপাশি আরেকজন লিখেছেন “এইরকম মানসিকতাকে স্যালুট জানাই।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর