খরচ হবে না এক টাকাও, লাগবে না গ্যাসও! ঠাণ্ডা জলেই হবে রান্না! বাজারে এল ‘ম্যাজিক চাল”

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাত রান্না করার জন্য আমরা এতদিন আগুনের উপর ভরসা করে এসেছি। চালকে ভাতে পরিণত করতে হলে নির্দিষ্ট সময় মত আগুনের তাপে গরম জলে ফোটাতে হয়। কিন্তু জানেন কি এমন এক ধরনের ম্যাজিক চাল আছে যা কোনোরকম আগুন বা গ্যাসের তাপ ছাড়াই রান্না হয়ে যায়? শুধু তাই নয়, এই চাল থেকে রান্না ভাত আবার সুগার ফ্রি!

সম্প্রতি এমনই ম্যাজিক ধানের চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এক কৃষক। বিহারের কৃষক বিজয় গিরি এই ম্যাজিক ধান চাষ করার জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তিনি নিজের গ্রাম হরপুর সোহসা গ্রামে এখন চাষ করছেন এই ম্যাজিক ধানের। এই ধানের চাষ এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মাজুলা দ্বীপে হতো। আসুন জেনে নিই এর ধানের বিশেষত্ব।

বিহারের কৃষক বিজয় গিরি গত বছর পশ্চিমবঙ্গের কৃষক মেলায় এসেছিলেন। সেখানে এসে তিনি এই ম্যাজিক ধান সম্পর্কে জানতে পারেন। তখন থেকেই শুরু। নিজের গ্রামে ফিরে শুরু করেন এই ধানের চাষের কাজ। তার এক একর জমিতে এই ম্যাজিক ধানের চাষ শুরু করেন তিনি। তার প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল হয়ে যান বিহারের এই কৃষক।

মজার কথা হল সেই ম্যাজিক ধানের চাল থেকে ভাত তৈরি করতে কোনরকম উনুন বা গ্যাস লাগেনা। এই চাল বিনা আগুনেই ভাতে পরিণত হতে পারে। সাধারণ জলের মধ্যে এই চালকে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেই তা ভাতে পরিণত হয়।

jpg 20220912 110505 0000 1

জানা গেছে, এই ম্যাজিক ধান চাষের জন্য বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয় না। এই ধানের চাষে লাগেনা কোন রাসায়নিক সার। বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি ধরে এই চাল বিক্রি হয়ে থাকে। এই চালের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো যে এটি সুগার ফ্রি। অন্যান্য চালের তুলনায় ম্যাজিক চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে অনেক কম ও প্রোটিনের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। বিজয় গিরি এই ম্যাজিক ধানের চাষ করে লাভের মুখ দেখার পর তিনি অন্যান্য কৃষকদেরও এই ধান চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর