বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তাইনের (Palestine) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস (Hamas) ইজরায়েলের (Israel) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। রীতিমতো ফিল্মি স্টাইলে, সন্ত্রাসবাদীরা ইজরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে এবং ধ্বংসলীলা চালায়। এদিকে, ইতিমধ্যেই হামাসের এহেন কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলি গণমাধ্যম দাবি করেছে, তারা হামাসের দেড় শতাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, সেই জায়গাগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে যেখানে হামাস সন্ত্রাসবাদীরা থাকতে পারে। হামাসের ঠিকানাগুলিতে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান ক্রমাগত বোমা বর্ষণও করছে। তবে, এইসব কিছুর মধ্যেই আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে একজন। যার নাম মোহাম্মদ দাইফ। সে হামাসের মিলিটারি উইংয়ের কমান্ডার।
কে এই মোহাম্মদ দিয়াফ: জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে তাকে মিলিটারি উইংয়ের চিফ নির্বাচন করা হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দিয়াফ ৬৩ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬০ সালে গাজার ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করে। তার পূর্বের নাম ছিল মোহাম্মদ দিউ ইব্রাহিম আল মাসরি। সে গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। মোহাম্মদ দায়েফের বয়স যখন ২০ বছর ছিল, তখন তাকে বিদ্রোহের অভিযোগে ইজরায়েলি সরকার বন্দি করে। পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে ইজরায়েলি আধিকারিকদের হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্রি হতে চলেছে আম্বানির কোম্পানি! কেনার জন্য ৬,৬৬০ কোটি টাকা জোগাড় করছে Hinduja Group
১৯৯৬ সালে, একটি বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জনেরও বেশি ইজরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং ওই বিস্ফোরণের জন্য মোহাম্মদ দায়েফকেই দায়ী করা হয়। এপি জানিয়েছে, মোহাম্মদ দায়েফ বলেছে যে, “অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম ইজরায়েলের একটি জবাব। গত ১৬ বছরে ইজরায়েল যেভাবে আমাদের ভূমি ক্রমাগত দখল করে চলেছে তার প্রতিক্রিয়া এটি।” উল্লেখ্য যে, ডায়াফ সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। তার সম্পর্কে এটা বলা হয় যে, সে লাইমলাইটে না এসেই ভয়াবহ সব কাজ করে।
আরও পড়ুন: এবার দুর্দান্ত বেতনের সরকারি চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখিযে, ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত গাজা এলাকা মিশরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু ১৯৬৭ সালে ইজরায়েল এলাকাটি দখল করে নেয়। প্রায় ৩৮ বছর শাসনের পর, এটি প্যালেস্তাইনের নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ২০১৭ সালে, হামাস সন্ত্রাসবাদীরা এটি দখল করে।