বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের ক্ষোভ জমে ছিল অনেকদিন ধরেই। শেষপর্যন্ত তারা পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। ধর্না, অনশন, বিক্ষোভ কর্মসূচীর কারনে শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি দাওয়া বিবেচনা করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।সরকারের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হলেও তা খুব পরিষ্কার ছিল না বলে অভিযোগ ছিল পার্শ্বশিক্ষকদের। বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতেই এবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর।
বিশদে ঐ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই শিক্ষকেরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকতা করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকা, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১৩,০০০ টাকা এবং স্পেশাল এডুকেটর বা বিশেষ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১২,৫০০টাকা পর্যন্ত সর্বাধিক বেতন পাবে শিক্ষকরা। থাকছে প্রভিডেন্ট ফাণ্ড বা পিএফের সুবিধাও।স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভূক্ত করা হবে পার্শ্বশিক্ষকদের ।
ছুটির ক্ষেত্রেও চালু হয়েছে নয়া নির্দেশ। প্রতি বছর ক্যাজুয়াল লিভ ১৪ দিন, মেডিক্যাল লিভ একটানা ২০ দিন পর্যন্ত ও মাতৃত্বছুটি ১৮০ দিন, মিসক্যারেজ জনিত ছুটি ৬ সপ্তাহ, শিশু-সন্তান দত্তক সংক্রান্ত ছুটি ১৩৫ দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।যদিও সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে আগ্রহী এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কতগুলি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সরকারের কাছে পেশ করতে হবে।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে কলকাতায়। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং স্নাতক শিক্ষকদের আন্দোলন দেখেছে শহর। মূলত বেতনবৃদ্ধির দাবিতে এই আন্দোলন। একই দাবিতে ফের পথে নেমেছেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা। সল্টলেকে ১১ নভেম্বর থেকে টানা ধরনা চলেছে। হয়েছে অনশনও।