বাংলাহান্ট ডেস্ক : সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করা হলে প্রথমেই আমাদের মাথায় চলে আসে দিঘা আর পুরীর কথা। তবে দিঘা (Digha), পুরী ছাড়াও আমাদের বাংলার বুকে বা বাংলার খুব কাছে এমন অনেক সমুদ্র সৈকত আছে যেগুলির নির্জনতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। আজ আমরা আপনাকে এমন একটি সমুদ্র সৈকতের সন্ধান দেব যেখানে গেলে সমুদ্রের নীল জলরাশির অনবদ্য সৌন্দর্যের সাথে মিলবে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা।
তবে এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, বাংলার মধ্যেই আছে এমন একটি সমুদ্র সৈকত। কথা হচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নির্জন সমুদ্রসৈকত জি-প্লটকে নিয়ে। এই জি প্লটের অবশ্য আরো একটি নাম রয়েছে, সেটা হল গোবর্ধনপুর (Gobardhanpur)। কলকাতাবাসীর এক্কেবারে ঘরের দোড়গোড়াতেই এই সমুদ্রসৈকত অবস্থিত হওয়ায় সপ্তাহান্তের ছুটি (Weekend Destination) কাটানোর জন্য এই নির্জন সমুদ্রসৈকত হয়ে উঠতে পারে এক্কেবারে আদর্শ স্থান।
গোবর্ধনপুর অবশ্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে তার সিনিক বিউটির জন্য। একদিকে সুন্দরবনের ঘন গভীর অরণ্য আর আরেক দিকে এই নির্জন সমুদ্র, নীল আর সবুজের অনবদ্য মিশেলে যেন গোবর্ধনপুর হয়ে উঠেছে এক ‘প্রাণের আরামে’র পীঠস্থান। যেহেতু এই জি প্লটের খুব কাছেই সুন্দরবনের অবস্থান সেই কারণে এই জায়গাটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ রোমাঞ্চকরও বটে। লাল কাঁকড়ার বিপুল সম্ভার যেন এ বিচের বিশেষ আকর্ষণ।
বলা বাহুল্য, খুবই পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন এই সমুদ্র সৈকত। দিঘা অথবা অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের মত প্রতিদিন এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে না বললেই চলে। সেই কারণে আপনি ইচ্ছে করলে বিচে একা একাই বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, সুন্দরবনের সামনে হওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রকার প্রাণীর দেখা মেলে এখানে। সব মিলিয়ে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নতুন জি প্লটটি উইকেন্ডে ঘোরার আদর্শ জায়গা হয়ে উঠছে।
এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে আসবেন এই গোবর্ধনপুরে? নিজের সুবিধামত ট্রেন বা বাস যেটাই ইচ্ছে আপনি যেতে পারেন। ট্রেনে করে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে কাকদ্বীপ পৌঁছতে হবে। এরপর সেখান থেকে পাথর প্রতিমা হয়ে লঞ্চে করে পৌঁছে যাবেন। তাই এখনও যারা ঘুরে আসেননি গোবর্ধনপুর থেকে, তারা খুব বেশি দেরি না করে সপ্তাহান্তের ছুটিতে বেরিয়ে পড়ুন জি প্লট অথবা গোবর্ধনপুর।