বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে মলয় ঘটকের কলকাতা ও আসানসোলের পাঁচটি বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা হাজির হন। অতীতে বহুবার মলয় ঘটক ইডির তলব এড়িয়ে যাওয়ায় এবার তথ্য সংগ্রহের জন্য বাধ্য হয়েই আধিকারিকরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন।
সূত্র মারফত খবর, বুধবার সিবিআই আধিকারিকেরা মলয় ঘটকের আসানসোল ও কলকাতার পাঁচটি বাড়ি সহ ডালহাউসির সরকারি আবাসনেও পৌঁছান। তবে জানা গেছে, মলয় ঘটকের এতগুলো বাড়ি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না স্থানীয়রা।
কাজের সুবিধার জন্য মলয় ঘটক সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই কলকাতায় থাকলেও ছুটির দিনে চলে যেতেন আপকার গার্ডেনের বাড়িটিতে। ১৯৯৬ সালে কেনা হালকা হলুদ রঙের দোতলা বাড়িটিতে বাস করেন তার স্ত্রী। পাশের বাগান মিলিয়ে প্রায় চার কাঠা জমি নিয়ে রয়েছে এই বাড়িটি। এই বাড়িটির সামনে থাকা অফিস ঘরেই আসানসোলের দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে চলে তার দেখা সাক্ষাৎ।
জানা গিয়েছে, আপকার গার্ডেনের বাড়ির পাশাপাশি সিবিআই অফিসারেরা মলয়ের পৈতৃক বাড়ি চেলিডাঙাতেও যান। মলয় ঘটকের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক বাড়িতে থাকাকালীন অবস্থাতেই সিবিআই আধিকারিকেরা হানা দেন। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে সিবিআই একটি আলমারিতে তল্লাশি চালানোর সময় তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেন। তবে সেখান থেকে “আশাপ্রদ” কিছু উদ্ধার হয়নি।
আপকার রোডের বাড়ির কাছেই মলয় ঘটকের অন্য একটি বাড়ি রয়েছে। সবুজ রঙের এই বাড়িটির প্রতিবেশীরা জানতেনই না যে এই বাড়িটির মালিক মলয় ঘটক! তবে কিছু স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন যে সায়নী ঘোষ ভোটের আগে এসে এই বাড়িতে থাকতেন। পাশাপাশি খবর এই দুটি বাড়িতেই রয়েছে একাধিক পরিচারক ও দারোয়ান।
মন্ত্রীর ভাই অভিজিৎ ঘটক ও তাঁর পরিবার থাকেন মলয় ঘটকের পৈত্রিক বাড়ি আসানসোলের চেলিডাঙ্গায়। মলয়ের ভাই অভিজিৎ ঘটকও কাজ করেন আইনজীবী হিসেবে। পাঁচ কাঠা জমির উপর বাগান দিয়ে ঘেরা এই বাড়ি। এই বাড়িটিতেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে তেমন কিছু তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
৫৮/১৮ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের উপর একটি বাড়ি রয়েছে মলয়ের। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন এই বাড়িতে যাতায়াত নেই মন্ত্রীর। বাড়ির পরিচারিকা সিবিআই অফিসারদের বাড়ির তালা খুলে দেন। তিনি জানিয়েছেন যে মন্ত্রী মাঝে মাঝে এখানে আসেন। এছাড়াও ৩৮৭, লেক গার্ডেন্সের বাড়ির গেটে নাম রয়েছে মলয় ঘটকের ছেলে অভিক ঘটকের। জানা গেছে এই বাড়িটিতে মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
সূত্রের খবর অনেকেই জানতেন না যে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কলকাতা ও আসানসোল মিলিয়ে এতগুলো বাড়ি রয়েছে।