বাংলার গরমে নাজেহাল? পাড়ি দিন মেঘালয়ের এই পাহাড়ি গ্রামে, মনে হবে যেন স্বর্গ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেঘের মুলুক মেঘালয়। আর মেঘালয়ের (Meghalaya) মাওলিনং (Mawlynnong) গ্রাম এক কথায় রূপকথার দেশ। এই গ্রামের সৌন্দর্য মোহিত করে দেয় সবাইকে। এই গ্রামের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ২০০৩ সালে এশিয়া এবং ২০০৫ সালে ভারতের সবচেয়ে পরিছন্ন গ্রামের শিরোপাও পেয়েছে মেঘালয়ের এই গ্রাম।

শিলং বিমানবন্দর এই গ্রামের নিকটবর্তী বিমানবন্দর। এই গ্রামটি বিমানবন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গাড়ি বা বাসের সাহায্যে আপনাকে এই দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছাতে হবে গ্রামে। এই গ্রামের সৌন্দর্য প্রত্যেক পর্যটককে বিমোহিত করে। এছাড়াও এই গ্রামটি এতটাই পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

গ্রামের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বাহারি রঙের ফুল। এই গ্রামে গেলে আপনি উপভোগ করতে পারেন স্কাইভিউ। এই স্কাইভিউ যেতে হলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৮৫ ফুটের দড়ি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি রাস্তা। এই গ্রামের একদম উপরে পৌঁছালে আপনারা দেখতে পাবেন ভারত – বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল সহ বাংলাদেশের সমতল ভূমি। এরপর আপনারা গোটা গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন।

অবাক করে দেওয়া কথা হল যে এই গ্রামে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত ও প্রত্যেকেই ইংরেজি ভাষায় সাবলীল। ইউরোপীয়ানরা এখানে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে চলে যান। নিরিবিলি এ সবুজ প্রকৃতিতে নিজেকে খুঁজে পেতে মাওলিনংকে যে কেউ বেছে নেবেন। গ্রামের পথে আপনারা দেখতে পাবেন রাস্তার ধারে রয়েছেন বাঁশের তৈরি ডাস্টবিন।

mawlynong village

এখানকার স্থানীয়রা মনে করেন যে প্রত্যেকটি গ্রামবাসীর কর্তব্য এই গ্রামকে পরিষ্কার রাখা। তাই রাস্তায় কোনও আবর্জনা দেখলেই তারা নিজেরাই সেটিকে ফেলে দেন ডাস্টবিনে। মাওলিনং এ বেশকিছু হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। শিলং পৌঁছে আপনারা আগে থেকে এই গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করে নিতে পারেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর