একইসাথে চোখ জুড়ানো ঝরনা ও পাহাড়ি নদী! এই হিল স্টেশনে গেলে ভুলে যাবেন দার্জিলিংও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় কিছুটা হলেও কমেছে গরমের দাপট। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন এই স্বস্তি বেশিদিন থাকবে না। এই সপ্তাহের মধ্যেই ফের একবার বাড়বে গরম। আর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয়ে যাবে গরমের ছুটি। তাই অনেকেই প্ল্যান করছেন পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার।

পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই বাঙালির মনে প্রথম মনে আসে দার্জিলিং (Darjeeling)। তবে দার্জিলিঙে ভিড় দেখে অনেক পর্যটকই পাড়ি জমাচ্ছেন ডুয়ার্সে। আজ আমরা আপনাকে ডুয়ার্সে পাহাড় ঘেঁষা এক গ্রামের সম্পর্কে বলবো। এই গ্রামগুলি একদিক থেকে যেমন মনোরম, অন্য দিক থেকে ভিড় কম।

   

Rongo

আজ আমরা আপনাকে ডুয়ার্সের কাছে রঙ্গো (Rongo) গ্রাম সম্পর্কে বলব। পাহাড় ও ঝর্ণার কম্বিনেশনে এই গ্রাম এক স্বর্গে পরিণত হয়েছে। এখানকার পাহাড়ি নদী আপনার মনকে নিয়ে যাবে এক অন্য উচ্চতায়। রিশপ, লাভা, টিফিনদারা ভিউ পয়েন্ট পেয়ে যাবেন খুব কাছেই। এই জায়গা থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন সিকিমের কিছু ভিউ।

রঙ্গো গ্রামের ছিমছাম ও অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মন হরণ করবে আপনার। এখানে থাকার জন্য কিছু হোম স্টে রয়েছে। পাহাড়ি ঝরনার উপর কাঠের ব্রিজ এই জায়গাকে আরো সুন্দর করেছে। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই গ্রাম আদর্শ। জ্যোৎস্না রাতে হোম স্টের বারান্দায় এসে দাঁড়ালে সে এক অন্য রূপ।

Rongo

এনজেপি থেকে রঙ্গো গাড়িতে যেতে সময় লাগতে পারে প্রায় তিন ঘণ্টা। তবে অনেকেই রঙ্গো যাওয়ার জন্য নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি ধরেন। এই গ্রামে আপনারা এনজিপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছাতে পারেন। এই গ্রামে যাওয়ার পথের দৃশ্য আপনার মনে চিরকাল থেকে যাবে। এছাড়াও নিউ মাল জংশনে নেমেও আপনারা পৌঁছাতে পারেন এই গ্রামে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর