দক্ষিণবঙ্গের গরমে হাঁসফাঁস? সামান্য খরচেই চলে যান এই সুন্দরী পাহাড়ি গ্রামে! মুগ্ধ হবেন রূপে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরমকাল আর পাহাড় প্রেম দুটোই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। আর গরমের ছুটি মানেই ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে নিয়ে পাহাড়ে বেরিয়ে পড়ার পালা। তবে, পাহাড় বলতেই আমজনতা যে দার্জিলিং আর কালিম্পং বোঝে সেই ধারণা বোধহয় এবার বদলাবার সময় হয়েছে। এবার আপনি বেছে নিতেই পারেন একটু অচেনা জায়গা, টুংলিং (Tumling)।

এখন প্রশ্ন হল, কোথায় এই পাহাড়ি গ্রাম টুংলিং? নেপাল (Nepal) ও ভারতবর্ষের (India) সীমানায় অবস্থিত টুংলিং নামের ছোট্ট গ্রামটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। মানেভঞ্জং থেকে টুংলিং যাওয়াটা বেশ সহজ হয়। তবে, এটাকে আক্ষরিক অর্থে গ্রাম বলা চলে না। তার চেয়ে বরং বসতি বলাই ভালো। হাতেগোনা ৭-৮ টি বাড়ি রয়েছে এখানে। এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।

Tumling

এক অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই টুংলিং। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আর প্রকৃত পাহাড়ের সৌন্দর্য যদি দেখতে চান তবে টুংলিংয়ের কোন বিকল্প নেই। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় থাকে তবে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেতে পারেন। টুমলিংয়ে জাতীয় সড়ক বাদে পুরো জায়গা পড়বে নেপালের অন্দরে। সকাল সন্ধ্যা সেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার আলাদা আনন্দ রয়েছে।

মানেভঞ্জং থেকে টুংলিং-এর দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। মাত্র ১১ কিমির কাছাকাছি এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে। তবে এখানে যাওয়ার পথে SSB চেকপোস্ট পড়ে, তাই সঙ্গে আধার কার্ড রাখা জরুরী। যাওযার পথটি কিন্তু খুবই সুন্দর। কারণ রাস্তার দুইপাশে রয়েছে ঘন পাইনের জঙ্গল। যাতায়াতের পথেই পড়বে চিত্রে উপত্যকা। এপ্রিল মে তে গেলে রোডোডেনড্রন পাবেন।

Tumling

এই নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামে একাধিক হোম স্টে ও লজ রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি মতো। তাই সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে দার্জিলিং থেকে ঘুম যাওয়ার রাস্তাও ধরতে পারেন। সেখান থেকে ২৫ কিমি দূরে এই মানেভঞ্জন। আবার চাইলে এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করেও পৌঁছে যাবেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর