বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেহাল দশা বাংলার অর্থনীতির (Economy of Bengal)। এই গল্প শোনা যেত বাম আমল থেকেই। ১১’তে পালা বদল। মহাকরণ থেকে কুর্সি গিয়ে বসল নবান্নে। নীল-সাদা পেল্লাই বাড়িতে বসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন বিরাট অংকের দেনা করে গেছেন জ্যোতি-বুদ্ধরা। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১২টা বছর। বিপুল আসন নিয়ে ফের নবান্নের ১৪ তলায় হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘বাংলা তার নিজের মেয়েকে’ পেলেও ফেরেনি অর্থনীতির হাল। এমনই মত অর্থনৈতিক মহলের। আর এবার যা খবর সামনে এল তাতে আম জনতার ‘পিলে চমকে’ যাওয়ার যোগার হবে বৈকি!
কোন রাজ্যের কোষাগারের হাল হকিকত কীরকম? তা নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে ডয়েশ ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের বাজেট বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন ডয়েশ ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ কৌশিক দাস। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী, কোষাগারের হাল সবথেকে ভাল রয়েছে বর্তমানে মহারাষ্ট্রে। আর তারপরই রয়েছে ছত্তীসগঢ়।
মাত্র ২৩ বছরও বয়স হয়নি যে রাজ্যের, সেই রাজ্যও কোষাগারের নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আর তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কোথায়? দেখা যাচ্ছে রাজকোশের স্বাস্থ্যের দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। তালিকায় একেবারে শেষ তিনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও কেরল।
মোট চারটি মাপকাঠির ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে ডয়েশ ব্যাঙ্ক। দেশের প্রধান ১৭টি রাজ্যের কোষাগারের উপর এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। রাজকোশে ঘাটতি, রাজ্যের নিজস্ব আয়ের পরিমাণ, রাজ্যের মোট ঋণের বোঝা ও রাজ্যকে যে পরিমাণ সুদ দিতে হয়। এই মাপকাঠিগুলির উপর নির্ভর করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই মাপকাঠিগুলির উপর ভিত্তি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ঋণের বোঝার দিক থেকে পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, রাজস্থান ও কেরল সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে।
ডয়েশ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোষাগারের হাল হকিকতের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও ছত্তীসগঢ়। তারপরেই রয়েছে তেলঙ্গানা। এদিকে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই ১৭টি রাজ্যের ২০২৪ অর্থবর্ষের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে গ্রস স্টেট ডমেস্টিক প্রোডাক্টের প্রায় ৩.৩ শতাংশ। ২০২২ অর্থবর্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই হিসেব ছিল ৩.৭ শতাংশ। এবার তার থেকে অনেকটাই কমতে চলেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।