বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেব (Dev) এবং মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’র নন্দনে জায়গা না পাওয়া নিয়ে গতি নিয়ে নিয়েছে বিতর্ক। দেবের জন্মদিনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও নন্দনে শো পায়নি প্রজাপতি। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক, যাতে ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনৈতিক রঙ।
ছবিতে দেবের সঙ্গে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির তারকা সদস্যের সঙ্গে রাজনৈতিক মতামতের দিক থেকে মিল না থাকলেও তাতে দেবের এক ছবিতে কাজ করা আটকায়নি। দুজনের জুটি বেশ পছন্দও করেছে মানুষ। কিন্তু নন্দনে প্রজাপতি আটকে যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক মতাদর্শই কি এর কারণ?
ছবিটি নন্দনে মুক্তি না পাওয়া নিয়ে একটি টুইটও করেছেন দেব। টুইটে সাংসদ অভিনেতা লেখেন, ‘এবারে নন্দনকে মিস করব। কোনো ব্যাপার নয়। আবার দেখা হবে। গল্প শেষ।’ একই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য দুটি ছবি ‘হামি ২’ এবং ‘হত্যাপুরী’ নন্দনে জায়গা পেল, অথচ প্রজাপতিই পেল না। অনেকেই মনে করেছিলেন, অভিমানের জায়গা থেকে টুইটটি করেছেন দেব।
কিন্তু এদিন এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাংসদ অভিনেতা বলেন, আক্ষেপ প্রকাশ করতে নয়, বরং বিতর্ক থামাতেই টুইটটি করেছেন তিনি। নন্দনে প্রজাপতি জায়গা পায়নি ঠিকই, কিন্তু অন্য সব হলেই হাউজফুল ছবি।
দেব আরো বলেন, কে কী বলছে না বলছে তার দায়িত্ব তাদের। তিনি শুধু নিজের টুইটের দায়িত্ব নেবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে তাঁর দলের সম্মান নষ্ট হয়। দেবের স্পষ্ট বক্তব্য, সাংসদ পদের ক্ষমতার অপব্যবহার কখনো করেননি। এবারেও তিনি করবেন না। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেও এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি তাঁর। মহাগুরু শুধু জিজ্ঞাসা করেছেন, মা লক্ষ্মী ঘরে আসছে তো?
উল্লেখ্য, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন স্পষ্টই বলেছিলেন, দেব বারবার রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা বলেন। সেটা থাকা উচিত। মিঠুনের কথায়, ‘উপরে উপরে সব ঠিক আছে, সবাই বন্ধু। নীচে যারা ওরা বোঝে না, ধুমধাড়াক্কা করে বেড়াচ্ছে।’