অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সাহায্যের আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে ছোট্ট ঝিলিক, হাত বাড়িয়ে দিলেন দেব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘরে শয্যাশায়ী বাবা, মা বেরিয়ে পড়েন কাজের খোঁজে। আর সারাদিন ভ্যানে করেই অসহায় বাবাকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় সাহায্যের আশায় ঘুরে বেড়ায় বছর ১১-র ছোট্ট ঝিলিক। যখন তাঁর খেলাধূলা করার বয়স, লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময়, সেই সময়ে সংসার চালাতে এবং বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে এইভাবেই পথে পথে ঘুরছে ছোট্ট ঝিলিক। আর তাঁর এই করুণ দশা চোখে পড়ে যায় সাংসদ দেবের (Dev), বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত।

এর আগেও বহুবার নানা সময়ে মানুষজনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন অভিনেতা সাংসদ দেব। কখনও দেখা গিয়েছে লকডাউনের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে, আবার কখনও দেখা গিয়েছে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে। আর এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ছোট্ট ঝিলিকের দিকে।

bvbvbh

বিষয়টা হল, উলুবেড়িয়া থানার হিরাপুর দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা বছর ৫০ -র সুশান্ত মন্ডল শারীরিক অসুস্থতাযর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী। সংসারের একমাত্র উপার্জিত ব্যক্তি ছিলেন পেশায় শ্রমিক সুশান্ত মন্ডল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অসুস্থতার পর সংসারের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ছোট্ট মেয়ে ঝিলিকের উপর।

যে বয়সে আর পাঁচটা বাচ্চা খেলাধুলা ও পড়াশোনার আনন্দে শৈশব কাতায়, সেই সময় যে অসুস্থ বাবাকে ভ্যানে করে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় সাহায্যের আশায় ঘুরে বেড়ায়। সারাদিন পেটে একদানা খাবারও জোটে না তাঁর। কেউ সহানুভূতি দেখিয়ে কিছু অর্থ সাহায্য করলে তা হয়, নাহলে খালি হাতেই ফিরতে হয় বাড়ি। আবার সারাদিনের ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে বই নিয়ে বসতে না বসতেই মাকে সাহায্য করতে ছুটতে হয়।

Dev is giving free food to the corona victims

ঝিলিকের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যথীত হন দেব। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মেয়েটির দিকে। দেব বলেন, ‘পড়াশুনা করার বয়সে এই ছোট্ট মেয়েটিকে এই কাজ করতে হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। খুবই খারাপ লাগছে, তবে আমার পক্ষে যতোটা সম্ভব আমি করব। আমি তো ভগবান নই, ওর বাবাকে তো আর সুস্থ করতে পারব না, তবে যতটুকু পারব চেষ্টা করব। ওঁকে যাতে আর এভাবে ঘুরতে না নয়, ও যাতে স্কুলে যেতে পারে, আমি চেষ্টা করব। অন্যদের কাছেও অনুরোধ করব, যাতে সকলেই এগিয়ে আসে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর