‘চরম স্বীকারোক্তি’! মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ১৩  বছর পর এ কি বললেন দেব?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল অর্থাৎ বুধবার ছাত্র সপ্তাহে অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের নানান চড়াই-উতরাইয়ের ঘটনা ভাগ করে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন ধনধান্য স্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে সাংসদ-বিধায়কসহ আরও অনেকে। হাজির ছিলেন বিভিন্ন নামী স্কুলের কৃতি পড়ুয়ারাও।

মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ‘চরম স্বীকারোক্তি’ দেবের (Dev)

নতুন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেব (Dev)। মঞ্চে সকলের সামনে গান গাইছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। তখন তিনিই দেবকে, ‘কে তুমি নন্দিনী’ গানটা গাওয়ার জন্য বলেন। এরপরেই মঞ্চের মধ্যে তৈরি হয় মজার পরিবেশ। লজ্জায় দেব কিছুতেই গান গাইতে রাজি হচ্ছিলেন না। তখন তাঁকে অনুরোধ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনিও রসিকতা করে দেবকে বলেন, ‘গাও না এখানে তো নন্দিনীও রয়েছে।’ তারপরেই ইন্দ্রনীলের সঙ্গে গলা মেলাতে দেখা যায় দেবকে (Dev)। দু এক কলি গেয়ে তারপর মাইক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে গান নিয়ে ইতিহাস আছে। এখনও আমার মনে আছে, ২০১১ সালের শহীদ দিবসে তখন আমি একেবারে নতুন, ভুল করে ‘পাগলু’ গানটা গেয়ে ফেলেছিলাম। আমি বুঝিনি। কিন্তু আমি সেদিন গাইনি। আমি এটা বলার সুযোগ কোনদিনও পাইনি। আজ বলার সুযোগটা পেলাম। কারণ মঞ্চের সামনে যে হাজার হাজার দর্শক বসেছিলেন তাঁরাই সেদিন পাগলু গানটা গেয়েছিলেন। তাঁরাই বলেছিলেন, আজও আবার সেরকম একটা দিন। আমি গাইতে পারবো না’।

দেবের (Dev) কথা শুনেই মঞ্চে শুরু হয়ে যায় হাসাহাসি। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে, মমতা দেবকে আবার বলেন, ‘একটা গান গাও না’। তখন ইন্দ্রনীলও পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন দেবকে গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে। তখন বাধ্য হয়ে দেব জানান তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘খাদান’-এর বিখ্যাত গান ‘কিশোরী’র প্রথম লাইনটাই তাঁর মনে আছে।

আরও পড়ুন: ‘কন্যাশ্রী’ নিয়ে বড় আপডেট মমতার! অবাক করবে শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির পরিসংখ্যান

ঘাটালের তারকা সাংসদের কথায়, ‘কিশোরী গানের প্রথম লাইনটা মনে আছে। দিদির সামনে সব গুলিয়ে যাচ্ছে। এখন আমার মাথায় একটা গান ঘুরছে।  যেটা গাইলে এখনই ট্রোল হতে হবে।’ এরপরেই দেব (Dev) জানতে চান, ‘ও মধু গানটা কার মনে আছে?’ তবে এই হাসি আনন্দের মাঝেও পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে কিছু বিশেষ বার্তা  দিলেন তিনি। সেইসাথে জানালেন এখন যদি জীবনে নতুন করে কিছু তিনি ফিরে পেতে চান সেটা হলো তাঁর স্কুল লাইফ।

দেব জানান তিনি নিজের স্টুডেন্ট লাইফটাই আবার ফেরত পেতে চান। তিনি মনে করেন, ‘যদি একটু ভালো করে পড়াশোনা করতাম জীবনে আরও একটু ভালো মানুষ হতে পারতাম। অভিমান হবে, হিংসা হবে পরবর্তী সময়ে। কিন্তু ১০-১৮ বছর বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাই যতটা সম্ভব এই সময়টাকে পড়ুয়াদের ব্যবহার করতে বলেছেন দেব।