বাংলাহান্ট ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রায় প্রবীণ যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ দেব (Dev)। বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীদের টিকিটে ছাড় এবং এই মুহূর্তের সবথেকে বড় সমস্যা, লোয়ার বার্থের চাহিদা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন তিনি। দেবের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
দূরের ট্রেন যাত্রায় প্রবীণ যাত্রীরা সাধারণত লোয়ার বার্থই নেন। কিন্তু ইদানিং লোয়ার বার্থ না পাওয়া নিয়ে সমস্যা যেন বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন সমস্যার কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন যাত্রীরা। সেক্ষেত্রে অসহায় বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রী দেখলে খুব কম লোকই লোয়ার বার্থ ছেড়ে দেন। এই সমস্যার সমাধান কী? প্রবীণদের জন্য আপার বার্থ কেন বরাদ্দ করা হয়? লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন দেব।
শুক্রবার সংসদে এর উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি কোচেই কিছু লোয়ার বার্থ নির্দিষ্ট করা রয়েছে প্রবীণ নাগরিক, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য। সংখ্যাগুলো স্লিপার ক্লাসে ৬-৭, এসি থ্রি টায়ারে ৫-৬ এবং এসি টু টায়ারে ৩-৪ টি বার্থ নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেও যদি কোনো প্রবীণ নাগরিককে লোয়ার বার্থ না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টা বলা যেতে পারে।
তিনি লোয়ার বার্থের ব্যবস্থা করে দেবেন। এতে কোনো অতিরিক্ত খরচও দিতে হবে না বলে জানান রেলমন্ত্রী। এছাড়াও আরো একটি প্রশ্ন করেছিলেন সাংসদ দেব। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটে কোনো ছাড় রয়েছে? রেলমন্ত্রী উত্তর দেন, টিকিটে ছাড় ছিল আগে। কিন্তু করোনার সময়ে রেলের তরফে সেই ছাড় তুলে নেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারো রেল পরিষেবা চালু হলেও সেই ছাড় আর ফেরানো হয়নি। সেটা আদৌ আর ফেরানো হবে কিনা তারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দেবের পাশাপাশি যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছিলেন, বন্দে ভারতের স্লিপার ক্লাস চালু করার কোনো পরিকল্পনা কি রয়েছে রেলের?
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো অত্যাধুনিক ট্রেনে স্লিপার ক্লাস চালু হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষেরই সুবিধা হবে বলে মত মিমির। সাংসদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।