বাংলা হান্ট ডেস্ক : উৎসবে ফিরেও আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে বলছেন দেব (Dev)। অথচ দেখতে দেখতে আজ ৫০ তম দিন। আরজিকরের (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তোলপাড় গোটা রাজ্য-রাজনীতি-দেশ। মেয়ের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত দু-চোখের পাতা এক করতে পারছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা।
টেক্কা মুক্তির আগে প্রতিবাদ নিয়ে সরব দেব (Dev)
অন্য বছর এই সময় পুজোর আগে গোটা শহর সেজে ওঠে পুজোর সাজে। কিন্তু এবছর শোকাহত গোটা শহর। একবুক শূন্যতা নিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেছেন ‘আর কোনো পুজোতে আমাদের বাড়িতে আলো জ্বলবে না।’ তাই এই বছর পুজোর আগে মন মেজাজ একেবারেই ভালো নেই রাজ্যবাসীর। মন থেকে যেন কিছুতেই আসছে না উৎসবের আমেজ।
কিন্তু মন ভালো না থাকলেও কাজ থেমে নেই কারও। একই ছবি বিনোদন জগতের ক্ষেত্রেও। আসলে অন্যদের কাছে যেটা বিনোদন তারকাদের কাছে সেটাই পেশা। এই মুহূর্তে আসন্ন সিনেমা ‘টেক্কা’ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দেব (Dev) -স্বস্তিকা এবং সৃজিতের মত তারকারা। এঁরা প্রত্যেকেই আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে পথে নেমেছিলেন একাধিকবার।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলড দেব (Dev) -স্বস্তিকা-সৃজিত। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজিকরের জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে উৎসবে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রাজ্যবাসী। যদিও সে সময় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ নিয়েই তাকে সমর্থন করে দেব বলেছিলেন উৎসবে ফিরেও চলুক প্রতিবাদ।
আরও পড়ুন : ‘আমি যতবার মা হব, সৃজিত ততবার পিতা’! আচমকা এ কি বললেন স্বস্তিকা?
অর্থাৎ দেবের দাবি ছিল স্পষ্ট উৎসবে ফিরেও প্রতিবাদ করা যেতে পারে। আসলে এই পুজোর কটা দিন যে আয় হয় সেদিকেই মুখ চেয়ে থাকেন অনেক ছোটখাটো ব্যবসায়ী। তাই তাদের পক্ষ নিয়েই সংবাদমাধ্যমে দেব বলেন, ‘যে ঢাকিরা দশদিনের রোজগারের জন্য এখানে আসছে, তাদের তো কোনো দোষ নেই। সেও জাস্টিস চায়। অনেক ছোট ব্যবসায়ীর কাছে এই পাঁচ-ছয়দিনের ব্যবসাটা, পাঁচ-ছমাসের রোজগার। সেও জাস্টিস চায়।’
এরপরেই নিজের সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে ‘টেক্কা’ সিনেমার ইকলাখ বলেন, ‘আমার একটা সিনেমা রিলিজ হলে, ২০-২৫জন কাজ পায়। যদি ১০০টা হলে রিলিজ করে, তার প্রভাব পড়ে ৬-৭হাজার মানুষের উপরে। মন খারাপ ঠিকই। কিন্তু সিনেমা বেশি ভালো চললে, এরাই বেশি রোজগার করবে। ওরাই তখন সিসিটিভি লাগাবে, নিরাপত্তার জন্য। সিকিউরিটি বাড়বে নারী সুরক্ষার জন্য। পুরোটাই একটা সিস্টেম। একটা জাস্টিস পাওয়ার জন্য, অনেকের সঙ্গে ইনজাস্টিস করা যায় না।’
উলেখ্য আরজিকর কাণ্ডের পর একাধিকবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন দেব। ধর্ষণ সবটাকে একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ করতেই কেন্দ্রের কাছে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের দাবি করেছেন দেব। তাই কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়ার আইন চেয়ে ক্রমাগত সাওয়াল করে চলেছেন তিনি।