বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই তৃণমূলে ভাঙন দেখা গিয়েছে। একের পর এক তৃণমূল নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী সাংসদরা দলে দলে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। মাঝে কদিন এই দলবদলের পালা বন্ধ ছিল। কিন্তু আবারও দলবদলের রাজনীতি শুরু হয়েছে বাংলায়। আরেকদিকে, টলিউডের নামীদামী অভিনেতা/অভিনেত্রীরাও রাজনীতির ময়দানে নামছেন।
ইতিমধ্যে সায়ন্তিকা, সায়নী, রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মৈত্র, অদিতি মুন্সিদের মতো তারকারা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। আর কাকতালীয় ভাবে তৃণমূলের বিধায়ক এবং বড় বড় নেতাদের জায়গায় এঁরা নির্বাচনের টিকিটও পেয়েছেন।
আরেকদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, শ্রাবন্তী, পায়েল, যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তীদের মতো তারকারা। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এদের কাউকেই এখনও একুশের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়নি। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, বিজেপির এখনও সব প্রার্থীর নাম ঘোষণাও হয়নি।
টলিউডের তারকাদের একে একে বিজেপিতে যোগদানের পর জল্পনা উঠেছিল যে তৃণমূলের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছিল যে, তাহলে সত্যিই কি হাওয়ায় নিজেকে ভাসিয়ে দেবেন দেব? শোনা যাচ্ছিল যে, নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দেব। তবে এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজেই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ।
দীপক অধিকারী জানান, ‘আমিও শুনেছি যে আমি নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। কিন্তু এটা সত্য নয়। ইচ্ছে করে এই খবর ছড়ানো হচ্ছে। আমার রাজনীতিতে তেমন কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। আমি দিদিকে দেখে রাজনীতিতে এসেছি। উনি আমাকে মান, সম্মান সবকিছু দিয়েছেন। আর আমি এটুকুতেই খুশি।”