বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন দেব (dev)। গেল গেল রব উঠেছিল তখন। অনেকেই বলেছিলেন, এবার একুল ওকুল দুকুলই গেল। কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিব্যি রাজনীতি অভিনয় দুটোই সামলাচ্ছেন দেব। তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে দুবার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সিনেমাও করছেন পাল্লা দিয়ে।
দেবের দেখাদেখি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারকাদের ঢল নেমেছিল রাজনীতিতে। টলিউড প্রায় ফাঁকা করে রাজনীতির মঞ্চে চলে এসেছিলেন বেশিরভাগ তারকা। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা বড় অংশকেই হারের পর আর রাজনীতির ত্রিসীমানায় দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটা নিয়ে হতাশ দেব।
।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাজনীতিতে হার জিতের মানসিকতা নিয়ে আসা উচিত না। হারলেও মানুষের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। কিন্তু সেই মানসিকতারই খুব অভাব এখন। নিজের ব্যাপারে দেব বলেন, তাঁর কাজের একটা ধারা আছে। সৌজন্যমূলক রাজনীতির ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন তিনি।
তবে দেদারে রাজনৈতিক দলবদল নিয়ে অভিনেতাদের দোষ দেন না দেব। তাঁর অভিযোগ, অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও কম যান না। তাই শুধু শুধু অভিনেতা অভিনেত্রীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। দেবের কথায়, “রাজনীতিটা আর নীতি নেই। হিন্দু-মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে। সকলেই ক্ষমতা চাইছেন। হেরে গেলে দলবদল করছেন।”
দেব নিজে রাজনীতি এবং ব্যক্তি জীবন আলাদা রাখতেই পছন্দ করেন। নিজের ইন্ডাস্ট্রির অথচ রাজনীতিতে বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। সবথেকে বড় উদাহরণ মিঠুন চক্রবর্তী। এ বিষয়ে দেব বলেন, তিনি রাজনীতি গায়ে মাখেন না। সকলেই নিজস্ব বিচারবুদ্ধি দিয়ে দল পছন্দ করেছেন। তাই তিনি জ্ঞান দেওয়ার কেউ নন।
এবার পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী এবং গোলন্দাজ। সেখানেও জিতের সঙ্গে দেবের টক্কর। তবে এটাকে লড়াই মানতে নারাজ অভিনেতা। কারণ দুজনের ছবির ধারা দু রকম। তাছাড়া এতদিন পরে ভয় কাটিয়ে মানুষকে হলমুখো করাটাই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য বলে জানান দেব।