বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেব, বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে এই নাম বহুল চর্চিত। আর পাঁচটা রাজনৈতিক নেতার থেকে একটু হলেও আলাদা তিঁনি। সর্বদা তাঁকে দেখা গেছে মানুষ দেব রূপেই। সবার আগে তিঁনি মানুষ, তারপর কোনো দলের নেতা। পাশাপাশি আজ পর্যন্ত তাঁর মুখে প্রতিপক্ষ দলের জন্য শোনা যায়নি কোনো কটুকথা। যেই বাংলায় দিন দিন ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির ময়দান, অন্যদিকে সেই রাজ্যে দাঁড়িয়েও স্রোতের বিপরীতে হেঁটে আজও শান্তি ও সৌদার্যপূর্ণ রাজনীতি চাইছেন অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ (TMC MP) দেব (Dev)। বরাবরই হিংসার বিরুদ্ধে তিঁনি। সেইসঙ্গে শিষ্টাচারটারকে রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই মনে করেন ঘাটালের জনতার প্রতিনিধি।
সোমবার সেই ঘটালে গিয়েই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অভিনেতা দেব। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি আর মিঠুনদা যদি বাবা ছেলের মতো থাকতে পারি তাহলে সাধারণ মানুষ বা গ্রামের মানুষরা কেন লড়াই করছে! রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা, আপদে বিপদে থাকা।’ রাজনীতিতেযে তিঁনি হিংসার বিরুদ্ধে এদিন সেটাই জানান দিলেন তৃণমূল সাংসদ। তবে এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেবকে পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলেরই মন্ত্রী (TMC Minister) শিউলি সাহা (Sheuli Saha)।
এদিন শাসকদলের কেশপুরের (Keshpur) বিধায়ক (MLA) দেবের পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, ‘দেব আর মিঠুনদা অভিনয় জগতে বাবা-ছেলে হয়েছেন। সিনেমা জগতে বাবা-ছেলে হওয়া সহজ। বাস্তবের মাটিতে দুটো বিপরীত ধর্মী মতবাদ, আদর্শকে সামনে রেখে বাবা-ছেলে হওয়া যায় না।’ পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক এও বলেন, “দেবের মনোভাব ভাল। কিন্তু বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তী যখন গেরুয়া পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন, তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন এক ছোবলে ছবি তখন এসব নীতিকথা আর কাজ করে না।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই সংবাদপত্রে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে অভিনেতা দেবের নাম। তাঁর এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি ‘প্রজাপতি’ কে ঘিরে বিতর্কের জল গড়িয়েছে বহুদূর। দেব, মিঠুন অভিনীত সেই সিনেমা সিনেমা নন্দনে জায়গা না পাওয়া নিয়ে শুরু হয় তরজা। এরপরেই এই বিতর্কের প্রতিযোগিতায় একে একে নাম লেখান দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। বহুদূর চলে ‘প্রজাপতি’ কে ঘিরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। যা হয়তো এখনও বর্তমান।