বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেয়েদের আটকে রাখা কঠিন, তাদের রুখতে পারে কোন চলন বলন কথন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ওদের সংগ্ৰামী গল্পজীবন।গ্রামে দেখুন খুঁজে, জরায়ু আছে, এমন মহিলা প্রায় পাবেন না।” বলছিলেন হাজিপুর গ্রামের মানদা উগালে।
তবে শুধু হাজিপুরে নয়, মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ‘জরায়ুশূন্য অঞ্চল’ বলে পরিচিত। কারণ গত তিন বছর ধরে এই রাজ্যের বিদ, ওসমানাবাদ, সাংলি, সোলাপুর ইত্যাদি জেলায় গ্রামের পর গ্রামে জরায়ুহীন নারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। জানা যাচ্ছে যার পিছনে কারণটি হল— আখের চাষ।
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে এই সব জেলার হাজার হাজার পুরুষ মহিলা সপরিবারে আখের চাষের সঙ্গে জড়িত। এঁরা দরিদ্র, নিরক্ষর, অসহায়।সেখানে তাঁরা কন্ট্রাক্টরের অধীনে কাজ করেন। স্বামী ও স্ত্রীকে একটিই ইউনিট হিসাবে ধরা হয়। কন্ট্রাক্টর যে ভাবে খুশি নির্যাতন করে এই আখ-শ্রমিকদের। মেয়েদের উপর বারংবার শারীরিক অত্যাচার চলে। প্রতিবাদের উপায় থাকে না। আইন, শাসন, বিচার এ দেশে দুঃখী মানুষের দরজা পর্যন্ত প্রায়শই পৌঁছতে পারে না। তবুও শ্রমকে সঙ্গ করে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।পেল ‘সমৃদ্ধ দেশ’ এর স্বীকৃতি।