বিগ ব্রেকিং: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ফড়নবিসের, জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে

বাংলা হান্ট ডেস্ক :মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছল, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার পর এ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিস। মঙ্গলবার টানা প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর অবশেষে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফডণবীসের পদত্যাগের পর জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে।devendrafadnavis 804 7

উল্লেখ্য মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বুধবার বিকেলে আস্থাভোট করার নির্দেশ জারি হওয়ার পর ফডণবীসের বাসভবনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার সহ মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের অন্যান্য বিধায়করা অবশেষে, বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়ে দেন দেবেন্দ্র।

https://banglahunt.com/wp-content/litespeed/localres/aHR0cHM6Ly9wbGF0Zm9ybS50d2l0dGVyLmNvbS93aWRnZXRzLmpz

যদিও দল ছাড়লেন কিনা সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি তবে শনিবার সকালে তাড়াহুড়ো করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণের পর আবার পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত বিজেপি নিজেই নিজের মুখ পুড়িয়েছে।   উল্লেখ্য শনিবার দেবেন্দ্র ফড়নবিসের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণের পর শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতে আস্থা ভোটের আর্জি জানানো হয়

এর পর রবি ও সোম দু দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার লাইভ সম্প্রচারে এবং প্রোটেম স্পিকারের মাধ্যমে আস্থা ভোটকরার নির্দেশ দেয় রামান্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। অর্থাত্ বুধবার বিকেল পাঁচটার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা জানানো হয় কিন্তু তার আগেই প্রথমে ইস্তফা দেন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, অজিতের ইস্তফা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেবেন্দ্র ব্যক্তিগত কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানান

একই সঙ্গে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি র বেশি ভোটাভুটির প্রশংসাও করেন তিনি, বিজেপি ও শিব সেনার জোট হলেও বিজেপি 70 শতাংশ বেশি আসনে জিতেছেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে বুধবার বিকেলের মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে সুপ্রিম কোর্টের এমন রায় ঘোষণার পর এনসিপি কংগ্রেস এবং শিব সেনার তরফে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেই বিজেপিকে পরাস্ত করার কথা ঘোষণা করে।

https://banglahunt.com/wp-content/litespeed/localres/aHR0cHM6Ly9wbGF0Zm9ybS50d2l0dGVyLmNvbS93aWRnZXRzLmpz

তবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে আবারও মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোল বদল হবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি বিরোধী শিবির।

সম্পর্কিত খবর