‘শিল্পই বাংলার লক্ষ্য এবং বিনিয়োগ আমাদের একমাত্র গন্তব্য’, এই বিশেষ মন্ত্র নিয়েই বাংলায় আয়োজিত হলো বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বের একাধিক প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের পরিকাঠামো এদিন তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গ প্রতিস্থাপন কেন্দ্র তৈরি করার সরকারের কাছে প্রস্তাব দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি। বর্তমানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একাধিক রোগীকে বাঁচিয়ে বিগত বেশ কিছু বছরে নজির গড়েছে বাংলার চিকিৎসকেরা। আর এদিন অঙ্গ প্রতিস্থাপন কেন্দ্র তৈরি করার জন্য সরকারের কাছে জমি চাইলেন দেবী শেঠি।
বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র কলেজে পড়াশোনা করলেই নার্স হওয়া যায় না। প্র্যাকটিক্যাল দিক থেকে রোগীর চিকিৎসা করার মাধ্যমে গড়ে ওঠে অভিজ্ঞতা। তাই বর্তমানে রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবে, এমন বহু সংখ্যক নার্স আমাদের তৈরি করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, ভবিষ্যতে বাংলায় অন্তত 1000 মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।” তিনি আরো বলেন, “বাংলায় একাধিক প্রতিভাবান চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে চলেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে এরা সকলেই কিন্তু গরিব ঘর থেকেই উঠে এসেছে।”
এদিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের অভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যে একাধিক হাসপাতালে থাকলেও সেই অনুযায়ী চিকিৎসক নেই। ফলে ভবিষ্যতে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বাড়াতে হবে। তবে আমার মনে হয়, প্রথমে ছোট ছোট মেডিকেল কলেজ তৈরি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।”
মঞ্চ থেকে তিনি বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে একাধিক সময়ে বেশি টাকা চাওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। আমার মনে হয়, এর পেছনে আসল কারণটি আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ছোট ছোট মেডিকেল কলেজ তৈরি করা যায়, তবে সেখানে কম টাকায় একাধিক ছাত্র পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এই প্রচেষ্টা চিকিৎসকদের অভাব অনেকাংশে দূর করবে।”
বর্তমানে বহু নামকরা চিকিৎসক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসছে। ফলে এরকম আরো মানুষকে যদি আমরা সুযোগ পেতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।” এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসা করার পাশাপাশি সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেরও এদিন প্রশংসা করেন দেবী শেঠি।