বাংলাহান্ট ডেস্ক: ট্রেন্ডের বিপরীতে হাঁটতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার (devlina kumar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় থাকার দরুন কোনটা চর্চায় রয়েছে আর কোনটা নেই সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকেন তিনি। কিন্তু অন্যদের মতো ট্রেন্ডে গা ভাসান না দেবলীনা। করেন ঠিকই, তবে রয়েসয়ে। যখন বিষয়টা নিয়ে মাতামাতি কমে আসে তখন তাতে নিজস্ব স্টাইল মেশান দেবলীনা।
এই যেমন কিছুদিন আগে পর্যন্ত ‘পরমসুন্দরী’র তালে মেতেছিল নেটদুনিয়া। ‘মিমি’ ছবির গানের সুর নাচতে বাধ্য করেছিল নেটিজেনদের। তৈরি হয়েছে একের পর এক রিল ভিডিও। আমজনতা থেকে তারকা সকলেই নেচেছিলেন এই গানে। এখন কিছুটা স্তিমিত হয়েছে পরমসুন্দরীর উন্মাদনা। আর এই সময়টাকেই কাজে লাগালেন দেবলীনা।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’ এর মঞ্চে শুটিংয়ের ফাঁকে তিনি নেচে উঠলেন ‘পরমসুন্দরী’র তালে। গোলাপী লেহেঙ্গা ও নীল বেনারসী ওড়নায় সেজেছিলেন গৌরব-জায়া। পরমসুন্দরীর ট্রেডমার্ক স্টেপও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ক্যাপশনে তিনি লিখলেন, ‘ট্রেন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি সেটা করতে পছন্দ করি’। বরাবরের মতোই দেবলীনার নাচের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।
গত ডিসেম্বরে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দেবলীনা। এ বছরই প্রথম বার বাড়ির বৌ হিসেবে উত্তম কুমারের লক্ষ্মীপুজোয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। দেবলীনার আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে, তিনি মহানায়কের নাতবৌ। বিয়ের পর প্রথম বারের লক্ষ্মীপুজো বেশ নিষ্ঠাভরেই পালন করলেন দেবলীনা।
https://www.instagram.com/reel/CV9xT1gAHkz/?utm_medium=copy_link
চট্টোপাধ্যায় বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর নামডাক কারোর অজানা নয়। স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার শুরু করেছিলেন এই পুজো। দাদুর সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে এখন পুজো করেন নাতি গৌরব। প্রত্যেক বছর উত্তম কুমারের আসনে বসেই পুজো করেন তিনি। এ বছর স্ত্রী হিসাবে দেবলীনার কাঁধেও পড়েছিল গুরু দায়িত্ব।
প্রথা মেনে লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়না, সিঁথি ভর্তি সিঁদুরে সেজে উঠেছিলেন দেবলীনা। রীতি অনুযায়ী বাড়ির বৌদের সঙ্গে পুজোর ঘট স্থাপন করেছেন। গৌরবের পাশে বসে নিষ্ঠাভরে সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সমস্ত ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।