বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘SET পরীক্ষা’য় প্রথম হয়েছেন, এমনি একটি পোস্ট সম্প্রতি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরনো রেজাল্টের ছবি শেয়ার করে গর্বের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, নিজের যোগ্যতায় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। যারা তাঁর বাবার রাজনৈতিক পরিচয় টেনে কটাক্ষ করেন, বাবার জোরেই নাকি তিনি সবকিছু পেয়ে যান, তাদের উদ্দেশেই পালটা তোপ দেগেছিলেন দেবলীনা।
কিন্তু এই করতে গিয়ে শেষমেষ নিজেরই মুখ পোড়ালেন অভিনেত্রী। দিন দুই আগেই আট বছর আগেকার SET পরীক্ষার ফলাফলের ছবি শেয়ার করেছিলেন। রেজাল্টে প্রথম স্থানে জ্বলজ্বল করছিল দেবলীনার নাম। ছবিটি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘ফোন অ্যালবামে এই স্ক্রিনশটটা খুঁজে পেলাম। প্রায় আট বছর হয়ে গেল, আমি SET পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম’।
এরপরেই কটাক্ষের সুরে দেবলীনা লেখেন, ‘যারা জানেন না, এটা পিএইচডি কোর্সের জন্য একটি অনলাইন প্রবেশিকা পরীক্ষা। অনলাইনটা বললাম যাতে আবার কিছু মানুষ না ভাবে যে আমার বাবা এটা করিয়ে দিয়েছে’। কিন্তু পোস্টটা করে যে কত বড় ভুল করেছিলেন সেটা তখন বুঝতে পারেননি দেবলীনা।
পোস্টের কমেন্ট বক্সে ট্রোল শুরু করেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় প্রথম দ্বিতীয় কবে থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে? পরীক্ষাটা না দিয়েই প্রথম হয়ে গেলেন? প্রশ্ন করেন কয়েকজন। এমনকি কয়েকজন কটাক্ষ করেন, স্মার্ট হতে গিয়ে ‘ছড়িয়েছেন’ দেবলীনা! ট্রোলিং দেখেই অবশ্য পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন। সঙ্গে ভুল স্বীকার করে লিখেছেন, ওটা SET নয়, RET হবে। অর্থাৎ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ‘রিসার্চ এন্ট্রান্স টেস্ট’।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল বিধায়কের মেয়ে হওয়ায় বারে বারে কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন দেবলীনা। এর আগে দিল্লি বোর্ডের পরীক্ষায় সাইকোলজিতে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন দেবলীনা। তখনো তাঁকে শুনতে হয়েছিল যে সেটাও তাঁর বাবাই করিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে। পেশাগত জীবনেও এমনটা শুনতে হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন দেবলীনা। তাই আগে থেকেই জবাব দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নিজেই ট্রোলড হলেন দেবলীনা।