বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। বক্স অফিসে অবশ্য দুর্দান্ত ব্যবসা করছে এই ছবি। শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ধামাকাদার ফলাফল দ্য কেরালা স্টোরির। কিন্তু ছবিটি দেখে নানান জনে নানান মত দিয়েছেন। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য (Devoleena Bhattacharjee), যিনি নিজেও ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করে তুমুল ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন।
গত বছরের শেষে নিজের বন্ধু তথা জিম ট্রেনার শাহনাওয়াজ শেখের সঙ্গে নিকাহ সারেন দেবলীনা। তাঁর এমন আচমকা বিয়ের খবর প্রত্যেককেই বড়সড় ঝটকা দিয়েছিল। তারপরেই শুরু হয় ট্রোলিং। প্রচুর কুরুচিকর আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছিল দেবলীনাকে। দিল্লির নৃশংস শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে কয়েকজন এমনো কটাক্ষ করেছিলেন, এবার দেবলীনাকেও ফ্রিজে পাওয়া যাবে। কিন্তু কোনো সমালোচনাই মুখ বুজে সহ্য না করে পালটা জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এবার তিনি মুখ খুললেন কেরালা স্টোরি ইস্যু নিয়ে। স্বামী শাহনাওয়াজের সঙ্গে ছবিটি তিনিও দেখেছেন, সেকথা জানিয়ে একটি পোস্টের উত্তর দিয়েছেন দেবলীনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি টুইট বেশ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে জানা যাচ্ছে একটি মেয়ে দ্য কেরালা স্টোরি দেখার পরেই তাঁর মুসলিম প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেয়।
পোস্ট থেকে জানা যায়, মেয়েটি প্রথমে তাঁর প্রেমিককেই বলেছিল তাঁর সঙ্গে কেরালা স্টোরি দেখতে যাওয়ার জন্য। উত্তরে মেয়েটিকে শুনতে হয় সে নাকি ‘ইসলামোফোবিক’। মেয়েটির প্রেমিক এও বলে, সে যে ইসলাম বিরোধী নয় তা প্রমাণ করতে ধর্ম বদলে তাকে বিয়ে করতে। মেয়েটি রাজি হয়ে গেলেও অপর এক বন্ধুর সঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরি দেখতে যায়। ছবিটি তার মনে এতই গভীর প্রভাব ফেলে যে তারপরেই প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপ করে নেয় মেয়েটি।
এই টুইটের উত্তরে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে দেবলীনা বলেন, ‘সবসময় কিন্তু এমনটা হয় না। আমার স্বামী একজন মুসলিম এবং সে আমার সঙ্গে ছবিটি দেখতে গিয়েছিল। দেখে প্রশংসাও করেছে। কোনো আপত্তি করেনি সে বা তার এমনো মনে হয়নি যে ছবিটি তাঁর ধর্মের বিরুদ্ধে। আমার মতে প্রত্যেক ভারতীয় এমনটাই হওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, দেবলীনার এই বিয়েকেও অনেকে লভ জিহাদ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পালটা উত্তরও দেন অভিনেত্রী। পালটা প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন তিনি, ‘আমার সন্তানরা হিন্দু হবে নাকি মুসলিম হবে সেটা বলার আপনি কে? এতই যখন চিন্তা হচ্ছে তখন অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নিয়ে সন্তানকে নিজের ইচ্ছা মতো ধর্ম আর নাম দিয়ে বড় করুন। আমার স্বামী, আমার সন্তান, আমার ধর্ম, আমার নিয়ম, আপনি কে?’