বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সে ভাবে পালিত হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) ওরশ উৎসব। তবে এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। আর তাই চেনা ছন্দে ফিরেছে এই উৎসব। এই ওরশ (Urs) উৎসব এতটাই জনপ্রিয় যে প্রতি বছরই এখানে দুই বাংলার মানুষ মিলেমিশে এক হন। ওরশ উপলক্ষে প্রতি বছরই এখানে এসে যোগ দেন হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিক।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য গত দু’বছর একটু তাল কেটেছিল। তবে এ বার ফের চেনা ছন্দে ফিরছে সব কিছু। প্রায় দু’বছর পর বুধবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পুণ্যার্থী স্পেশাল ট্রেন। পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে একটি স্পেশাল ট্রেনে প্রতিবছরই অসংখ্য বাংলাদেশি আসেন ভারতে।
২৪টি বগির এই পূণ্যার্থী স্পেশাল ট্রেনটিতে প্রায় ২৫০০ তীর্থযাত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে শামিল রয়েছে ৪০ জন শিশুও। এই ট্রেনটিকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, পুলিশ, ডি আই বি, কাস্টম ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি হেলথ ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। এ দিন এই ট্রেন দেখার জন্য ভারতীয়দের মধ্যে উৎসাহ ছিল লক্ষ্যণীয়।
বাংলাদেশের রাজশাহী, ঢাকা, কুষ্টিয়া, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ এসেছেন এই ট্রেনে করে। ভারতের ওরশ উৎসবে শামিল হতেই এসেছেন তাঁরা। এই ট্রেনটি মঙ্গলবার রাত ১০টায় বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে বুধবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ গেদে স্টেশনে এসে পৌঁছয়। এরপর এটি রবিবার সকালে পুনরায় গেদে স্টেশনে সকল দর্শনার্থীদের নিয়ে ফিরবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর মহান সুফি-সাধক হযরত সৈয়দ মুরশেদ আলী আলকাদেরী আল বাগদাদীর ১২২ তম বার্ষিক ওরশ উৎসব পালিত হচ্ছে। তিনি ‘মওলা পাক’ নামেও বিখ্যাত। এই উপলক্ষে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ ‘মওলপাকের’ মাজার শরীফ, তাঁর বাসস্থান দায়রাপাকে ও সাধনা স্থল কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত স্ত্রীগঞ্জ পাকে ভক্ত ও পূর্ণার্থীদের ঢল নেমেছে।
‘মওলাপাক’ কাদেরিয়া তরিকার প্রাণপুরুষ বড় পীর সাহেব গওসুল আজম হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল কাদের জিলানীর ২৩ তম বংশধর। বর্তমানে এই তরিকার সাজ্জাদানশীন মাওলা পাকের স্থলাভিষিক্ত হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আল কাদেরী আল বাগদাদী পাকের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে এবার এই ওরশ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।