বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতিতে যতই বিস্তৃত হচ্ছে সিবিআইয়ের জাল, তাতেই উঠে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য (SSC Recruitment Scam)৷ শুক্রবার নিউটাউন থেকে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি সম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই। তাঁর অফিসে তল্লাশি করে মিলেছে একের পর এক তথ্য ৷ রংমিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ের হোটেল মালিক । প্রসন্নর এই উল্কাগতির উত্থানেই কার্যত চোখ কপালে উঠেছে গোয়েন্দাদের ।
কীভাবে উত্থান প্রসন্ন রায়ের? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই ছাড়াও প্রসন্ন রায়ের আরও বেশ কিছু পরিচয় রয়েছে। তিনি বেশ বড় ব্যবসায়ী। সিবিআই-এর তরপ থেকে জানা গেছে নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় প্রসন্নর নামে একাধিক জমি ও বাগান বাড়ির হদিশ মিলেছে। আপাতত প্রসন্নর ৫ টি বাগান বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে রাজারহাটে। দুবাইয়ে রয়েছে তাঁর বিলাসবহুল হোটেল। শুধু দুবাইতেই নয়, প্রসন্নর হোটেল রয়েছে দার্জিলিং, উত্তরাখণ্ড এবং পুরিতেও।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রসন্ন রায় প্রথম জীবনে একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাড়ি রঙের ঠিকাদার। তারপরই যেন ‘আলাদিনের প্রদীপ’ হাতে পেয়ে যান প্রসন্ন। রাতারাতি শুরু করেন হোটেল ব্যাবসা। ভারতের একাধিক বড় শহরে হোটেল খোলার পাশাপাশি পা রাখেন বিদেশের মাটিতেও। কিন্তু এত টাকা কোথা থেলে এল? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ভাগিদার ছিলেন পার্থ ভাগ্নী-জামাইও।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল সল্টলেকে প্রসন্নর গাড়ি ব্যাবসার অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রদীপ কুমার সিংকে। এবং তারপরই সিবিআইয়ের নজরে আসে প্রসন্নর বৈভব। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসন্ন রায়ও প্রতক্ষ ভাবে জড়িত বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আরও জানা যাচ্ছে, মহম্মদপুরে ১০ কাঠা জমি এবং রাজারহাটে তিনতলা সুরম্য বাগানবাড়ির মালিকও প্রসন্নই। শুধু তাই নয় এই বাগান বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও ওই বাগান বাড়িতে আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে বহুবার।