বাংলা হান্ট ডেস্ক : এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধিদের মধ্যে একপ্রকার ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। যদিও ঠান্ডা লড়াই বললে ভুল হয়, কারণ যেভাবে প্রথমে কেন্দ্র একের পর এক এনডিএ জোট শরিকের কাছ থেকে সমর্থণ পেয়েছে কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সমর্থণ একেবারে নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যে এনডিএ জোট শরিকের দশটি দল নিজেদের রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেবে না বলে জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে দেশের হিন্দুদের এবং বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তারে হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন প্রণয়ন করেছ। তবে আইন প্রনয়নের পর থেকেই যেভাবে দেশজুড়ে আন্দোলন বিক্ষোভ চলছে তার জেরে পরিস্থিতি সামল দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন, কিন্তু আন্দোলন প্রশমিত হচ্ছে না।
দেশে আদতে কারা থাকতে পারবেন বা কারা পারবেন না তা নিয়ে ধন্ধ অব্যাহত কিন্তু এরই মধ্যে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ভারত মাতা কি জয় বললে তবে এদেশে থাকা য়াবে ঠিক এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৫৪ তম জেলা সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমে দেশের নাগরিকত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি প্রথমে অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা নাগরিকদে এদেশে বাস করাকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এদেশে থাকতে গেলে অবূশ্যই ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে, অর্থাত্ তাঁর কথায় একপ্রকার বলাই যায় যাঁরা না বলবে তাঁরা থাকতে পারবেন না। দেশজুড়ে যেভাবে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে তার মধ্যে ধর্মেন্দ্র প্রধানের এহেন মন্তব্য যে নতুন বিতর্কের সূচনা করতে পারে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।