বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ‘চমৎকার’ দেখিয়ে চর্চায় এসেছেন বাগেশ্বর ধামের (Bageshwar Dham) ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী (Dhirendra Krishna Shastri)। এ বার একটি ইন্টারভিউতে আরও চাঞ্চল্যকর কথা বললেন তিনি। নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সময়কার ট্রেনযাত্রার কথা তোলেন। একবার বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে টিকিট পরীক্ষককে জরিমানা দেওয়ার বদলে তাঁর থেকেই নাকি ১১০০ টাকা নিয়ে ফিরেছিলেন! কিন্তু কী ভাবে এমন হয়েছিল? ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বিষদে জানিয়েছেন সে কথা।
বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, নিজের ক্ষমতার বলে টিকিট পরীক্ষকের বাবার নাম বলে দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই রেলের ওই কর্মী তাঁকে ১১০০ টাকা দেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি কোনও ভগবান নন। বরং আর পাঁচজনের মতোই একজন সাধারণ মানুষ। তাঁর উপর শুধু বজরং বলীর কৃপা রয়েছে। দক্ষিণা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহাভারতের সময়কাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।
তাঁর দাবি, তিনি এমন পরম্পরা মানেন যেখানে আঙুল অবধি দান করা হয়েছিল। তাঁর কাছে আসা ভক্তরা ভালবেসে যা কিছু দেন, তাই তিনি মাথা পেতে স্বীকার করে নেন। এছাড়াও তিনি জানেন, সেই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন জনহিতৈষী কাজকর্ম করে তাঁর আশ্রম। সাই বাবা (Sai Baba) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাই বাবা বা অন্য কোনও সাধুর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও শত্রুতাও নেই।”
ওই সাক্ষাৎকারে মুসলিমদের নিয়েও মুখ খোলেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। তিনি বলেন, “যাঁরা মঞ্চ থেকে সাধু সন্ন্যাসীদের মেরে ফেলার কথা বলেন বা নিদান দেন। অথবা যাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষাপ্রয়োগ করেন, আমার তাঁদের নিয়ে সমস্যা রয়েছে।” ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী জানান, আজও প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মুসলিম পরিবার তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এছাড়াও তাঁর অনেক বন্ধুই মুসলিম এবং তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়।
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী জানান, গত ৩ প্রজন্ম ধরেই দরবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দাদা গুরুজীর সময় থেকেই এর শুরু হয়। তাঁরাও গত ১১ বছর ধরে এই দরবার করছেন। বাগেশ্বর ধাম বাবা নিজের স্কুল জীবনের কথাও তুলে ধরেন ওই সাক্ষাৎকারে। তিনি জানান, স্কুলে পড়াকালীন পরীক্ষার পর অনেক পড়ুয়াই তাঁর কাছে তাদের নম্বর জানতে আসত। সেই সময় একজনকে বলেছিলেন, এ বার ৫৫ শতাংশ আসবে। কিন্তু ভাল করে পড়াশোনা করলে পরের বার ৬০ শতাংশ নম্বর আসবেই। তাঁর দাবি, সেটি নাকি সত্যিই ঘটেছিল।