বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের অনেক গল্প সকলেই শুনে থাকবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে, আমরা ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির একটি বন্ধুত্বের সম্পর্কে কথা বলবো। মহেন্দ্র সিং ধোনি একজন সেলিব্রিটি হয়ে ওঠার আগে অত্যন্ত সাধারণ পরিবেশ থেকে উঠে এসেছেন। সাধারণ মানুষ থেকে এত বড় তারকা হয়ে ওঠার পরও ধোনি মাটিতে পা রেখে চলতে পছন্দ করেন। তিনি তার স্বভাবে অহংকারকে কখনোই স্থান দেননি। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তিনি একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন।
আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে একটি ঘটনা ঘটেছিল যা প্রমাণ করে যে টাকাই ধোনির জীবনের সবকিছু নয়। এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন ধোনি কলকাতায় তার এক পুরনো বন্ধুকে পেয়েছিলেন যিনি একসময় খড়গপুর স্টেশনে চায়ের দোকান চালাতেন। ধোনি থমাসকে দেখে উপেক্ষা করেননি বরং তাকে দেখে খুব খুশি হন এবং তাকে জড়িয়ে ধরেন। ধোনি বরাবরই তার সরল প্রকৃতির জন্য পরিচিত।
ঘটনাটা সেই সময়ের, যখন ধোনি বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে কলকাতায় এসেছিলেন। স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ড্রেসিংরুমের বাইরে একজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন, সেই ব্যক্তির নাম থমাস। ধোনি থমাসকে দেখেই চিনতে পেরে তাকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর থমাসকে হোটেলে নিয়ে গেল তার সাথে ডিনারও করেন।
ধোনির সাথে দেখা করার পর তার বন্ধু থমাসকেও খুব খুশি মনে হয়েছিল। আসলে খড়্গপুর রেলস্টেশনে থমাসের একটা চায়ের দোকান আছে। থমাস জানান, ধোনি যখন সেই রেলস্টেশনে টিকিট চেকার হিসেবে কাজ করতেন, তখন থেকেই তাকে চিনতেন। ধোনি প্রায়ই তার দোকানে চা খেতে আসতেন। তারপরে কলকাতায় ধোনির সাথে দেখা করার পরে তিনি বলেছিলেন যে আমি আমার দোকানের নাম রাখব “ধোনি টি স্টল”। ধোনি যখন ওই স্টেশনে টিসির কাজ করতেন, তিনি দিনে দুই থেকে তিনবার আসতেন।কিন্তু বিখ্যাত হয়ে ওঠার পরেও তিনি নিজে একইরকম খুশি হয়েছিলেন বন্ধুকে দেখে। বলাই বাহুল্য যে ব্যক্তি তার কঠিন সময়ে বন্ধুদের ভুলে যায় না, সে জীবনে কখনো হারতে পারে না। ধোনিও সেই ব্যক্তিদের একজন।