বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নামগুলির মধ্যে একটি। ক্রিকেট বিশ্বে অধিনায়ক হিসেবে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। ভারতকে তিনি ৩টে আইসিসি ট্রফি জিতিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে। তবে আজ আমরা ধোনির পেশাগত জীবন নয়, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই প্রতিবেদনে কথা বলবো। তার স্ত্রী সাক্ষী এবং কন্যা জিভাকে সকলেই চেনে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। কিন্তু ধোনির বাকি পরিবার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন কারণ তারা অত্যন্ত তারা অত্যন্ত সাধারণভাবে জীবনযাপন করে থাকেন এবং প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকেন।
পান সিং ধোনি: ধোনির বাবা ছিলেন উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার লাভলি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাঁচিতে ‘পাম্প অপারেটরের’ চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে তিনি ১৯৬৪ সালে রাঁচিতে চলে আসেন। ধোনির বাবা চাননি প্রাথমিক ভাবে চাননি তার ছেলে রকজন পেশাদার ক্রিকেটার হোক। তাকে সরকারি চাকরি করতে দেখতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই ধোনি যখন রেলে চাকরি পেয়েছিলেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছিলেন। তবে পরে যখন ধোনি তার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন, তার বাবাও অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছিলেন। নিজের ছেলেকে নিয়ে তিনি গর্বিত।
দেবকী দেবী: ছোটবেলা থেকেই ধোনির মা দেবকী ছোট্ট মাহিকে আগলে রাখতেন এবং তার স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় তাকে পুরোপুরি সমর্থন করেছিলেন। দেবকী ধোনি একজন সাধারণ গৃহিণী। যখন ধোনি ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তখন তিনি ক্রিকেট সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতেন না। কিন্তু ছেলের খেলা দেখে তিনিও এই ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতে থাকেন। এরপর সফপি ক্রিকেটার হওয়ার পরেও ধোনি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন খেলে, তার মা তার ছেলের জয়ের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে থাকেন।
জয়ন্তী গুপ্তা: ধোনির দিদির নাম জয়ন্তী। তিনি ছোটবেলা থেকেই ধোনির ক্রিকেটার হয়ে ওঠার স্বপ্নকে প্রশয় দিয়েছেন। গোটা পরিবারে তিনি একমাত্র এমন ছিলেন যিনি ধোনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে গোড়া থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। জয়ন্তী ধোনির কেরিয়ার গড়ার পথে তাকে অনেকটা মানসিক জোর যুগিয়েছিলেন। জয়ন্তী এরপর পেশায় একজন ইংরেজি শিক্ষক হন। তার স্বামীর নাম গৌতম গুপ্ত।
নরেন্দ্র সিং ধোনি: মাহির বড় ভাইয়ের সম্পর্কে অনেকেই খুব কম শুনেছেন। নরেন্দ্র সিং ধোনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সালে যখন ঝাড়খণ্ডে লোকসভা নির্বাচন হয়, তখন নরেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ক্যাপ্টেন কুলের থেকে বয়সে দশ বছরের বড়। শোনা যায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। ধোনি জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করার আগেই নরেন্দ্র নিজের বাড়ি ছেড়েছিলেন বলে শোনা যায়।