বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক মাস ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। স্কুলের গ্রুপ ডি নিয়োগ (Group D Recruitment) নিয়ে প্রকাশ্যে আসছে অভিযোগের পাহাড়। মামলার শুনানিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাওড়া ও বীরভূম জেলার স্কুল পরিদর্শকদের আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দেশ দেওয়াই সার। হাওড়ার ডিআই (Howrah DI) কোনও উত্তরই দিলেন না। যার জেরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।
আদালতের এই নির্দেশের পর হাওড়ার ডিআইয়ের আইনজীবী বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, তাঁর মক্কেলের এই মুহুর্তে আদালতে আসতে অসুবিধা আছে। তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন। আইনজীবীর এই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি জানতে চান, তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে আছেন? ডিআইয়ের আইনজীবী জানান, ‘না তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ে রয়েছেন। সম্ভবত হাওড়ার পাঁচলাতে সেই মিটিং হচ্ছে।’
আইনজীবীর এই উত্তরে অবাক হয়ে যান বিচারপতি। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘জেলার স্কুল পরিদর্শক কেন মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ে রয়েছেন? তাঁর সেখানে কী কাজ?’ এই প্রশ্নের আর কোনও উত্তর দিতে পারেননি হাওড়ার ওই ডিআইয়ের আইনজীবী। বলেন, ‘আমার ঠিক জানা নেই।’ তারপরই বিচারপতি অবিলম্বে হাওড়ার ডিআইকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, আদালত গত ১৩ জানুয়ারি গ্রুপ ডি-র এই মামলার শুনানিতে হাওড়া ও বীরভূমের স্কুল পরিদর্শকদের কাছে জানতে চায়, এই দুই জেলায় কোনও চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে কিনা। চাকরি পেলে কতজন চাকরি করছেন তারা? তাও রিপোর্ট হিসাবে আদালতে জমা করতে বলা হয়। বীরভূমের ডিআই রিপোর্ট জমা দিলেও হাওড়ার স্কুল পরিদর্শক সেই রিপোর্ট জমা দেননি বলেই জানা যাচ্ছে।
গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। বিভিন্ন বিচারপতির এজলাসে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলছে। সেরকমই একটি মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান যে তারা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কত জন চাকরিপ্রার্থীর জন্য সুপারিশ করেছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন আদালতে পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ৪৪৫০ জনের নাম সুপারিশ করেছে।