বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে নবাগত তারকা সন্তান। মা হলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা (dia mirza)। দ্বিতীয় বিয়ে ও তার পরপরই সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরে বেশ কিছুদিন লাইমলাইটে ছিলেন দিয়া। মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী। আর এবার অনুরাগীদের প্রথম বার মা হওয়ার সুখবর দিলেন দিয়া।
গত ১৪ মে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। কিন্তু এতদিন কিছু কারণ বশত আগে সুখবরটি দিতে পারেননি দিয়া। সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি ছিল জীবনের ঝুঁকিও। তবে চিকিৎসকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এমার্জেন্সি সি সেকশন ডেলিভারির মাধ্যমে সুস্থ ভাবে সন্তান জন্ম দেন অভিনেত্রী।
এবার একেবারে ছেলের নাম সহ খুশির খবর শেয়ার করেছেন দিয়া। সন্তানের নাম তিনি রেখেছেন অভ্যান আজাদ রেখি। দিয়া লিখেছেন খুব শীঘ্রই সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবেন তিনি। বাড়িতে অভ্যানকে কোলে নেওয়ার জন্য তাঁর দিদি সামাইরা, ঠাকুমা ঠাকুরদা অপেক্ষা করে রয়েছেন।
জানিয়ে রাখি, সামাইরা বৈভবের প্রথম পক্ষের সন্তান। কিন্তু বিয়ের পর সৎ মেয়েকে দূরে সরিয়ে দেননি দিয়া। বরং নিজেদের সঙ্গে মালদ্বীপ ভ্রমণে সামাইরাকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যেই দুজনের ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। তাই সামাইরাও যে ছোট ভাইকে পেয়ে খুশি হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত দিয়া।
https://www.instagram.com/p/CRS8EU4DGGe/?utm_medium=copy_link
প্রসঙ্গত, বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তুমুল ট্রোল হতে হয়েছিল দিয়াকে। গর্ভবতী হয়ে পড়ার জন্যই তড়িঘড়ি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন অভিনেত্রী, এমনটাই মত ছিল অনেকের। এক নেটনাগরিক দিয়ার পোস্টে কমেন্ট করেন, ‘অনেক শুভেচ্ছা। কিন্তু সমস্যাটা হল মহিলা পুরোহিত দিয়ে বিয়ে করিয়ে উনি সমাজের প্রচলিত রীতি গুলি ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়ার খবরটা উনি দিতে পারলেন না কেন? বিয়ের পরেই গর্ভবতী হওয়া উচিত, এমন রীতিই তো আমরা মেনে চলি। একজন মহিলা বিয়ের আগে গর্ভবতী হতে পারবে না কেন?’
আর চুপ করে থাকেননি দিয়া। খুব মার্জিত ভাবেই উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘ভাল প্রশ্ন। প্রথমত আমরা সন্তান নিতে চলেছি বলে আমরা বিয়ে করিনি। একসঙ্গে জীবন কাটাবো বলে আমরা বিয়ে করেছি। আমরা যখন বিয়ের তোড়জোড় করছিলাম তখনি জানতে পারি আমি গর্ভবতী। অর্থাৎ গর্ভবতী হওয়ার জন্য বিয়েটা হয়নি। যতক্ষণ না জানতে পেরেছি সন্তান সুস্থ রয়েছে ততক্ষণ কোনো ঘোষনা করিনি। এটা আমার জীবনের সবথেকে আনন্দের খবর। অনেক বছর আমি অপেক্ষা করেছি এই দিনটার জন্য। মেডিক্যাল কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণের জন্যই আমি এটা লুকোতে রাজি নই।’