বাংলা ছেড়ে দিল্লি, ED অফিসে পৌঁছেই মিষ্টি খাওয়ার আবদার ডায়াবেটিসের রোগী অনুব্রতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বাংলা ছেড়ে দিল্লিতে গরু পাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বয়স হয়েছে তার, শরীরে হাজারো জটিলতা। মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছেও অসুস্থ হন কেষ্ট। দিল্লি বিমানবন্দরে হুইল চেয়ারে করে নামতে দেখা যায় তাকে। বিমানেও খানিক চুপচাপই ছিলেন কেষ্ট। তবে, শরীরে ঘাটতি পড়লেও ইডিকে (ED) নিজের পছন্দের খাবারের কথা জানাতে ভুললেন না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।

ইডি সূত্রের খবর, দিল্লি (Delhi) পৌঁছেই মিষ্টি (Sweets) খাওয়ার আবদার করেন ডায়াবেটিসের রোগী অনুব্রত। জানা গিয়েছে ইডি-র সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে গিয়ে নৈশভোজের পাতে দু রকম মিষ্টি খেতে চান কেষ্ট। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় সে ব্যবস্থা করতে পারেনি ইডি। রাতে তার খাবারে রুটি, সবজি দেওয়া হয়। সাথে ছিল মিনারেল ওয়াটার।

তবে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দিল্লির যাত্রা পথে ভিসতারার বিমানে যে খাবার গুলো দেওয়া হয়েছিল, তার সবটা খাননি কেষ্ট। বিমানে চা আর স্ন্যাকস নেন তিনি। অল্প পেস্ট্রিও খান তৃণমূল নেতা। তবে বিমানে বেশ চুপচাপ ছিলেন অনুব্রত। তার দাপুটে মেজাজ কিছুটা হলেও কম দিল্লি যাত্রার সময় থেকে। বিমানে কিছুটা সঙ্কুচিত ছিলেন তিনি।

সেখানে সবার সেলফি থেকে বাঁচতে সিটের পিছনে মাথা লুকিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেন কেষ্ট। পরে উড়ে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে তাও নিম্নস্বরে। মোটের ওপর এদিন বেশ চুপচাপই ছিলেন ‘বীরভূমের বাঘ ‘। এদিন ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীনও বিধ্বস্তই দেখাচ্ছিল অনুব্রতকে।

anubrata mandal

জানিয়ে রাখি, মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছে মধ্যরাতেই শুনানির ব্যবস্থা করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। তবে সশরীরে হাজিরার পক্ষে সওয়াল করেন কেষ্টর আইনজীবী। এরপর মাঝপথে শুনানি বন্ধ করেই হঠাৎই বিচারকের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডলকে। দীর্ঘক্ষন শুনানি শেষে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাকেশ সিং।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর