বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কুরুচিকর মন্তব্যের জেরেই বরখাস্ত? মাত্র কয়েক ঘন্টা আগের ঘটনা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার এক ডিআইবি ইন্সপেক্টর (DIB Inspector)। ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বরখাস্ত সেই পুলিশ কর্তা।
প্রসঙ্গত, শনিবার কাঁথিতে বিশাল জনসভা করেছেন তৃণমূল দলনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় । সভার শুরু থেকে শেষ, অভিষেকের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি শিবির। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত! কাঁথির জনসভায় তৃণমূল নেতার বক্তব্য রাখার এক ছবির সঙ্গে কুরুচিকর কিছু মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয় পোস্ট। পোস্টটি করেছিলেন বারাসাত পুলিশ জেলার ডিআইবি ইন্সপেক্টর আশিস বটব্যালের। শুরু হয় বিতর্ক, আর এর পরেই নেমে এলো শাস্তির পাহাড়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক কি লিখেছিলেন ওই ডিআইবি ইন্সপেক্টর? পোস্টের শুরুতেই একটি অশ্লীল মন্তব্য করেন ইন্সপেক্টর। পোস্টে লেখা হয়েছিল ‘চশমাটা-র দাম কত? কোথা থেকে চোখ দেখিয়ে আনলি…! জনগণকে তা বল…!” পোস্টটিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও দিয়েছিলেন তিনি।
বিতর্কের জেরে সোশাল মিডিয়া থেকে নিজের করা পোস্টটি সরিয়ে নেন ওই পুলিশকর্মী। তবে শেষ রক্ষা হল না। খোদ বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় পুলিশ কর্তার বরখাস্তের বিষয়টি শিকার করে নিয়েছেন। সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।
গোটা এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। চড়তে শুরু করেছে বিতর্কের পারদ। সাসপেন্ড হওয়া ওই পুলিশ কর্তার পাশে অবশ্য দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি। পুলিশ কর্তার মন্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপি নেতা দীপ্ত কুমার লস্কর বলেন, “এটা শুধু আশিসবাবুর মতো সৎ পুলিশ কর্মীর প্রশ্ন নয়! পুরো বাংলার মানুষের কাছে এই প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। আমরা তো বারবার প্রশ্ন তুলছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পদের উৎস কি? তিনি যেভাবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তা সত্যিই বাংলার রাজনীতির পক্ষে বেমানান। পুলিশ আজ দলদাস তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সেটা স্পষ্ট হয়েছে আশিসবাবুর মতো পুলিশ কর্মীর পোস্টের মাধ্যমে। সেটা স্পষ্ট হয়েছে আশিসবাবুর মতো পুলিশ কর্মীর পোস্টের মাধ্যমে। ওনাকে আমরা কুর্নিশ জানাই।”