বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) সঙ্গে অধিকারী পরিবারের যেমন সুসম্পর্ক ছিল, তেমনই এখন সংঘাত বেড়েছে। একদা তৃণমূলের ব্যানার্জী পরিবারের পর অধিকারী পরিবারেরই রাজত্ব চলত। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বিগত ছয় মাসে অধিকারী পরিবার আর তৃণমূলের সম্পর্কে বড়সড় ফাটল ধরেছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, একে একে অধিকারী পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
তবে এখনও পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের একজন সদস্য তৃণমূলেরই আছেন। তিনি হলেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। শান্তিকুঞ্জের সবাই যখন ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে চলে যাচ্ছিল, তখন দিব্যেন্দুবাবু একাই তৃণমূলে রয়ে যান। নির্বাচনের আগে ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল, কিন্তু তিনি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দেননি। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ওনার পরিবারের সদস্যদের অপমান করা হলে, তিনি বরদাস্ত করবেন না।
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে মীরজাফর, বেইমান সমেত অনেকভাবেই কটূক্তি করা হয়েছিল। তবে শুভেন্দুও ছেড়ে দেননি। তিনিও তৃণমূল সাংসদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও ভাইপো, কখনও তোলাবাজ, কয়লা চোর বলে আক্রমণ করে এসেছেন। তবে বেশকিছু সময় তৃণমূলের আক্রমণ শুধু শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। কখনও কখনও তা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক হয়ে উঠেছিল।
রাজ্যে ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল আবারও বিপুল আসন পেয়ে জয়লাভ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূল সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী এখন কি করবেন? তিনি বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ হলেই নিরাপত্তা পাছেন কেন্দ্রের। আরেকদিকে, রাজ্য সরকার তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে।
দিব্যেন্দুবাবু এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন। দল ছাড়ার কোনও ভাবনা নেই। তবে তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যের তরফ থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে ক্ষুব্ধ তিনি। দিব্যেন্দুবাবু প্রশ্ন তুলে বলেছেন, রাজ্য কেন নিরাপত্তা তুলে দিল? পাশাপাশি কেন্দ্র কেন নিরাপত্তা দিল ওনাকে সেই নিয়ে কিছু জানা নেই বলেছেন তিনি। তবে দিব্যেন্দু এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তৃণমূলে থাকলেও পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও কুরুচিকর আক্রমণ সহ্য করবেন না।