বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে কি আড়াআড়ি বিভাজন হচ্ছে? সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। এই আবহে এবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এক মন্তব্য সেই জল্পনাতেই কার্যত ঘি ঢালল। তৃণমূল সেনাপতি কি নাম না করেই দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) নিশানা করলেন? মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন।
নাম না করেই কুণালকে ‘টার্গেট’ অভিষেকের (Abhishek Banerjee)?
সম্প্রতি ‘শিল্পী বয়কট’ ইস্যুতে জোড়াফুল শিবিরে দু’টি ভিন্ন মত দেখা গিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যে সকল শিল্পী রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছিলেন তাঁদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কুণাল। এদিকে অভিষেক তারকাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা তো দূর, উল্টে বলেছিলেন, তিনি প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
বুধবার ফের একবার ‘শিল্পী বয়কট’ ইস্যুতে মুখ খোলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। কারোর নাম না নিয়েই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি যতখানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি, আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছোট থেকে দেখেছি, উনি সরিয়ে দাও, হটিয়ে দাও এই রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। যারা বয়কটের কথা বলেন, একসময় তো তাঁদের মধ্যে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন। তাই উনি যদি এই বয়কটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, তাহলে তাঁরাই দলে ফিরতে পারতেন না। আমরা বয়কটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাকি দলনেত্রী হিসেবে উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই শিরোধার্য’।
আরও পড়ুনঃ সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নে মিলবে নম্বর? নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে অভিষেকের এই মন্তব্যের পরেই মাথাচাড়া দিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। তৃণমূল (TMC) সেনাপতি কি নাম না করেই কুণালকে নিশানা করলেন? কারণ একসময় এই কুণালই বলেছিলেন, ‘সারদায় সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
যদিও পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘আমি মনে করি না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এটা আমায় বলেছেন। আমি যা বলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েই বলি। তাই আমার মনে হয় সার্বিকভাবেই বলেছেন’।
‘শিল্পী বয়কট’ ইস্যুর পাশাপাশি এদিন ব্যক্তি স্বাধীনতাতেও জোর দিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘আমরা সবাই স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি জানি এখন বহু শিল্পী ভাবছেন তাঁকে ডাকা হচ্ছে না মানে তৃণমূল বয়কট করিয়েছেন। তৃণমূল বয়কটের রাজনীতি করে না। ঠিক তেমনই আমার পাড়ার আয়োজক হিসেবে সিদ্ধান্ত আমার। এর সঙ্গে বয়কট মেলানো উচিত নয়’।