বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তিনি। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর গত বছর পুজোর আগে ফের বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ। এবার যেমন ফের একবার কেষ্টর একটি মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নাম না করে তৃণমূলেরই (Trinamool Congress) এক হেভিওয়েটকে নিশানা করেছেন তিনি।
তৃণমূলের কোন হেভিওয়েটকে নিশানা করলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)?
জামিন পেয়ে তিহাড় থেকে ফেরার পর থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট। তাঁর এবং কাজল শেখের ‘দ্বৈরথ’ নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। মঙ্গলবার অনুব্রত দাবি করেন, জেলা পরিষদ ঠিক ভাবে উন্নয়নের কাজ করছে না। এই নিয়ে তাঁকে পাল্টা দিয়েছিলেন সভাধিপতি কাজল। এবার নাম না নিয়েই কাজলকে নিশানা করলেন কেষ্ট।
বুধবার অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেন, ‘কে কী বলছে, তাঁর নাম নিয়ে তাঁকে হাইলাইট করব না। ছোট থেকে আমি দলটা করি। ৬৮ বছর বয়সে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন, আমি সেই পথেই চলব’। কেষ্ট আরও বলেন, ‘আমি জীবনে কাটমানি খাইনি। রাজস্ব বাড়ুক। জেলাশাসককে বলেছি, রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছে। সেটা বাড়াতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ মরিয়া চেষ্টা! জেলবন্দি সন্দীপ এবার যা করলেন… ঘুরে যাবে আরজি কর মামলার মোড়?
এর আগে জয়দেবের মেলার মাঠে মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডলের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন কাজল শেখ (Kajal Sheikh)। সভাধিপতিকে আশীর্বাদ করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের শুরু হয়েছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ধারা! কাজল বলেন, ‘উনি জেলা সভাপতি। তবে জেলায় দল চালাবে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কোর কমিটি’।
এরপর বুধবার এই নিয়ে পাল্টা দেন কেষ্ট। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ফোন করে বলেছেন মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম দেখ। আমি বলেছি সেখানকার বিধায়ক শাহনাজ হোসেন ভালো কাজ করছে। ও কেতুগ্রামে যখন আমায় দরকার পড়বে ডেকে নেবে’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব কাজলকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আবার শাহনাজের ভাইও। ফলে অনুব্রতর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় চর্চা।
কাজল এর আগে দাবি করেছিলেন, জেলা সভাধিপতি পদে অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজের পছন্দের কাউকে বসাতে চাইছেন। ‘একটা দুষ্ট চক্র কাজ করছে’ বলে দাবি করেন তিনি। সেই দাবি উড়িয়ে কেষ্ট সাফ জানান, ‘জেলা সভাপতি কেন পরিবর্তন করতে যাব? এটা ফালতু কথা’।