বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে গত বছরই বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ। কাজল শেখের (Kajal Sheikh) সঙ্গে কেষ্টর ‘দ্বন্দ্বে’র কথা কারোর অজানা নয়। এবার যেমন ফের একবার সুর চড়ালেন কাজল। ‘তরমুজ’ কটাক্ষ শোনা গেল তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার মুখে।
অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিশানা করলেন কাজল?
শনিবার বীরভূমের নানুর ব্লকের অধীন পাপুড়ি গ্রামে শহীদ সভা আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ সহ শাসকদলের কর্মীরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন কাজল।
তিনি বলেন, ‘বীরভূম জেলার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের যত নেতা, কর্মী রয়েছেন তাঁদের বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে চলুন। তৃণমূল তরমুজ পার্টি হলে চলবে না। উপরটা সবুজ ভেতরটা লাল হলে চলবে না’।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় নতুন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ! IAS মনোজ কুমার আগরওয়ালের আসল পরিচয় জানেন?
এখানেই না থেমে কাজল আরও বলেন, ‘আমি একুশের, তেইশের, চব্বিশের ভোটে দেখেছি অনেকে পাঁচিলে উঠে বসেছিল। ভাবছিল তৃণমূল কংগ্রেস দলটা থাকবে নাকি যাবে। সজাগ থাকুন, সতর্ক থাকুন। যারা পাঁচিলে চেপেছিল, তাঁদের দিকে লক্ষ্য রাখুন। ছাব্বিশের ভোট এলে তাঁরা ফের পাঁচিলে উঠবে। তবে ভোটের পর পাঁচিলেই রাখব, নামতে দেব না। আমদের এই সংকল্প নিতে হবে’।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেন কাজল শেখ। তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, ‘যারা কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। বিকাশ রায়চৌধুরীর মাধ্যমে বাকিদেরও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বলেছিলাম। যারা আসেননি, তাঁরা হয়তো শহীদদের ভুলে গিয়েছেন’।
একইসঙ্গে কাজল বলেন, ‘তাঁরা আসবেন নাকি আসবেন না তাতে কিছু যায় আসে না। ওটা আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়’। তৃণমূল নেতা সরাসরি কারোর নাম নেননি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, তিনি আদতে অনুব্রত শিবিরকেই নিশানা করেছেন।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গত বছর পুজোর আগে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এরপর থেকেই ফের রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। গত কয়েক মাসে একাধিকবার কেষ্ট-কাজল ‘দ্বন্দ্ব’ শিরোনামে উঠে এসেছে। ছাব্বিশের ভোটের আগে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।